Monday, November 3, 2025
HomeScrollহারিয়ে ফেলেছেন বার্থ সার্টিফিকেট? SIR-এর আগে পাবেন কীভাবে?
SIR

হারিয়ে ফেলেছেন বার্থ সার্টিফিকেট? SIR-এর আগে পাবেন কীভাবে?

হাতে লেখা বার্থ সার্টিফিকেট থাকলে লাগবে এর ডিজিটাল কপি, জেনে নিন বের করার উপায়

ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) ঘোষণার পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর (SIR)। ভোটার তালিকার (Voter List) তথ্য যাচাইয়ের এই বিশেষ অভিযান ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য যাচাই করছেন বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। যাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তবে যাদের নাম এই তালিকায় নেই, তাঁদের নির্দিষ্ট নথি ও তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে হবে।

এসআইআর-এর জন্য পূরণ করতে হবে এনুমারেশন ফর্ম, এবং দেখাতে হবে ১২টি প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে অন্তত একটি। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে জন্ম শংসাপত্র (Birth Certificate) বা জন্মের প্রমাণপত্রে। আর এই বিষয়েই নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন বহু নাগরিক—কারণ সবার কাছেই জন্ম শংসাপত্র নেই। কেউ কেউ আবার হাতে লেখা পুরানো সার্টিফিকেট নিয়েও দ্বিধায় রয়েছেন। আপনিও এই নিয়ে চিন্তায় থাকলে দেখে নিন যে কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

আরও পড়ুন: SIR-এ বিভ্রান্তি! জেলাশাসকদের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে নির্বাচন কমিশন?

SIR-এ বার্থ সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ কেন?

ভারতের আইন ও সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের জন্ম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। সেই কারণে এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও এই নথিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

কোথায় বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে?

শিশুর জন্মের পর জন্ম শংসাপত্র প্রদান করে স্থানীয় পুরসভা, মহকুমা শাসক দফতর বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। এছাড়াও অনলাইনে সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের ওয়েবসাইট crsorgi.gov.in –তে আবেদন করেও এই নথি পাওয়া যায়।

বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

সন্তানের জন্মের ২১ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হয়, যাতে শিশুর জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, মা-বাবার নাম, ঠিকানা ও হাসপাতালের তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হয়। সব ঠিক থাকলে ৭ দিনের মধ্যে জন্ম শংসাপত্র হাতে পাওয়া যায়।

শিশুর জন্ম হাসপাতালে জন্ম না হলে কীভাবে বার্থ সার্টিফিকেট মিলবে?

হাসপাতালে জন্ম হলে মেডিক্যাল অফিসারের দেওয়া জন্মপত্র লাগবে। কিন্তু বাড়িতে জন্ম হলে এমবিবিএস চিকিৎসক, কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত প্রধানের সনদ দিয়েও জন্মের প্রমাণ জমা দেওয়া যায়। যদি জন্মের রেজিস্ট্রেশন এক বছর পর করা হয়, তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন দরকার।

বার্থ সার্টিফিকেটের কী কী নথি লাগবে?

  • মা-বাবার পরিচয়পত্র (আধার, ভোটার আইডি ইত্যাদি)
  • মা-বাবার বিবাহের শংসাপত্র (যদি থাকে)
  • মা-বাবার ঠিকানার প্রমাণ
  • হলফনামা

পুরানো হাতে লেখা বার্থ সার্টিফিকেট কীভাবে ডিজিটাল করবেন?

১৯৯৯ সালের অক্টোবরের পর ইস্যু করা জন্ম শংসাপত্র সহজেই ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করা যায়। যাদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাদের ক্ষেত্রে পুরনো রেকর্ড না থাকায় ডিজিটাইজেশনে সমস্যা হতে পারে। জন্ম শংসাপত্রের ডিজিটাল কপি পেতে হলে আসল জন্ম শংসাপত্র, মা-বাবার পরিচয়পত্র, এবং ফর্ম এ পূরণ করে পুরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিতে হবে। যদি আসল সার্টিফিকেট হারিয়ে যায়, তবে ফোটোকপি বা পোলিও কার্ডে থাকা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েও ডিজিটাল কপি তোলা সম্ভব। তবে তার আগে থানায় একটি হারানোর অভিযোগের ডায়েরি করতে হবে।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News