ওয়েব ডেস্ক: এক ডামাডোলের পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশ। যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়েছে তবু পাকিস্তান (Pakistan) গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে পাল্টা দিচ্ছে ভারত (India)। সবমিলিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই রবিবার নবান্নের তরফে একগুচ্ছ পরামর্শ জারি হল।
এদিন প্রায় এক ঘন্টা নবান্ন (Nabanna) থেকে এই বৈঠক করেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শীঘ্রই জেলায় জেলায় লং রেঞ্জ সাইরেন ও শর্ট রেঞ্জ সাইরেন স্থাপন করা হবে। জেলায় জেলায় যে কন্ট্রোল রুমগুলি তৈরি হয়েছে সেখানে যাতে প্রশিক্ষিতরাই কাজ করেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জেলাশাসকের সদর দফতরগুলির পাশাপাশি আর কোথায় কোথায় সাইরেন বসানো হবে তার সমীক্ষা শেষ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন: জওয়ান পূর্ণম সাউয়ের স্ত্রীকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, কী কথা হল?
মুখ্যসচিব জানান, এ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। জেলাশাসকদের তিন মাসের খাদ্য সামগ্রী যাতে মজুত থাকে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা করার কথা বলা হয় ওই বৈঠকে। বলা হয়, সিভিল ডিফেন্সের যাঁরা রয়েছেন বিভিন্ন জেলায় তাঁদের সবার নম্বর নিয়ে রাখবেন। সবার সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন করে কাজ করতে হবে। আশ্রয় শিবির কী কী হতে পারে তা চিহ্নিত করে রাখুন।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব বৈঠক করলেন জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারদের নিয়ে। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি নির্দেশ দেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনওরকম তথ্য এলে তা সঙ্গে সঙ্গে ডিজি কন্ট্রোল রুমে পাঠাতে হবে। ক্লাবগুলির মাধ্যমে আরও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। যাতে আরও তথ্য আমাদের কাছে পৌঁছয়। সীমান্তবর্তী জেলাগুলি থেকে যে তথ্য আসবে অনেক ক্ষেত্রেই তা ভুয়ো হতে পারে। তা নিয়ে সতর্ক থাকবেন। এদিনের বৈঠকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, নজরদারি চালু রাখুন। বিপর্যয় মোকাবিলার সব রকমের ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে।
দেখুন খবর: