গাঁ-গেরামে একেই বলে বোবায় পাওয়া, মানে হঠাৎই কথা বন্ধ। হ্যাঁ, এক্কেবারে তাই হয়েছে কাঁথির খোকাবাবু বা বালুরঘাটের এমপি সুকান্ত মজুমদারের। এই ক’দিন আগে মোদিজির বাচ্চা জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে গাজা স্ট্রিপ করে দেব, তো সে গুড়ে গ্যামাক্সিন ঢেলেছেন ট্রাম্প সাহেব। জানিয়ে দিয়েছেন, বন্ধ করো না হলে ব্যবসা বন্ধ, গাজা স্ট্রিপ তো দূরের ব্যাপার, মুখ পুড়িয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন চৌকিদার মোদিজি। তারপর থেকে লেগেই রয়েছে। বিজেপির রাজ্য সরকার, কেন্দ্রে মোদিজি, এয়ারপোর্টের দেখরেখ আদানির আর মাত্র ক’বছর আগেই টাটাবাবুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়া, যা সিমরন জিলে অপনি জিন্দেগি। আর এখন মৃতের সংখ্যা ২৭৫ পার করে গেছে। দুর্ঘটনা নিয়ে নানান সন্দেহ জন্মাচ্ছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানান গুজব। আর দুর্ঘটনার পরে এক অসভ্য সরকারের ফোটোসেশন চলছে। হাসপাতালের লাশকাটা ঘরের সামনে থিকথিকে ভিড়। পরের পর অ্যাম্বুল্যান্সের শব্দ ছাপিয়ে তবু মৃতদের আত্মীয় স্বজনদের রাগ, দুঃখ, যন্ত্রণা, হাহাকার শোনা যাচ্ছে। কেউ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ ডিএনএ ‘ম্যাচ’ করলে পরিজনের দেহের টুকরোটুকু দেখার অপেক্ষায়। চোখের জলও শুকিয়ে গিয়েছে তাঁদের। নাওয়াখাওয়া ভুলে তাঁরা শুধু কাছের মানুষের দেহাংশ শেষবারের জন্য ছুঁয়ে দেখতে চাইছেন।
গত তিনদিন ধরে এই একই দৃশ্য আমেদাবাদের সরকারি হাসপাতালের বাইরে। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত ক’দিন ধরে তাঁরা দেখেছেন, কোনও দেহ এসেছে অ্যাম্বুলেন্সে। আবার কোনও যাত্রী বা স্থানীয় বা বিমানকর্মীদের ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহের অংশ, পুড়ে দলা পাকিয়ে যাওয়া হাত-পা, শরীরের টুকরো ঠেলাগাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়েই, মানে পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্সও নেই। ঘটনার পর চার দিন কেটে গেছে এখনও নিহত ২৭৪ জনের মধ্যে মাত্র জনা ৫০-৫৫ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের কবে সেই ‘সুসময়’ আসবে কেউ জানে না। এরমধ্যেই এদিন সকালে হাসপাতালের বাইরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একই বস্তার মধ্যে দু’জনের মাথার খবর পেয়ে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বস্তায় করে দেহাংশ নিয়ে আসা হচ্ছিল, ওই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল এবং সংলগ্ন চত্বরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে কোথাও হাতের টুকরো, কোথাও বা শুধু আঙুল, পায়ের পাতা এমন হাজারো টুকরো পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি বস্তায় বেঁধে আনা হচ্ছে হাসপাতালে। তেমনই একই প্যাকেটে দু’টি খুলির কথা চাউর হতেই হাসপাতালের বাইরে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। যে মানুষগুলো হাসপাতালের দরজার বাইরে প্রিয়জনের দেহের টুকরোর জন্য অপেক্ষা করছেন, তাঁদের মাঝে এসে দাঁড়ানোর সাহস করে উঠতে পারেননি নেতা-মন্ত্রীরা। গুজরাটের হর্ষ সাংভি মোদিজির মতোই সঙ্গে মিডিয়ার লোকজন নিয়েই এসে হাসপাতালে ছবি তুলছিলেন। তখনই বেশ কিছু মৃতদের আত্মীয়স্বজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কতক্ষণ আর ধৈর্য, সহ্যের পরীক্ষা দিতে হবে? তাঁরা চিৎকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললেন, “এটা আপনাদের ছবি তোলার সময়? আমরা ট্রমার মধ্যে আছি। আর আপনারা মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতারা ছবি তুলছেন এসে।”
ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের ক্যামেরা ‘অফ’ হয়ে যায়। হাসপাতালের দরজায় ঘুরে ঘুরে অনেকেই কাতর আরজি জানাচ্ছেন, তাঁর পরিজনের যে জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি যেন দিয়ে দেওয়া হয়। একজন বললেন, এর সঙ্গে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। আমার ভাইকে তো আর পাব না। ওঁর ব্যবহার করা কিছু জিনিস যদি অন্তত নিজের কাছে রাখতে পারি।” কিন্তু যা পাওয়া গেছে তার ছবি, তার ডিটেইলস কিছুই জানানো হচ্ছে না। এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দুর্ঘটনার পরের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেঘানিনগরে দুর্ঘটনার জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন পোজে ছবি তুলেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের চরম অমানবিকতার কথা বলতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেলেন ওই মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক। হাতে, মুখে ধুলো কালি ভর্তি। গলা, ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে তিনি বললেন, আমার কিছু বলার আছে, সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই বার্তা সরকারের উঁচুতলায় পৌঁছে দিতে চান তিনি। তাঁর মেয়ে এবং বাড়ির পরিচারিকা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘আমি আর আমার স্ত্রী দু’জনেই ডাক্তার। আমরা পড়াশোনা করে ডিগ্রি নিয়েই ডাক্তার হয়েছি। আমার মেয়ে, আমার বাড়ির পরিচারিকা হাসপাতালে। আর এখন আমাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে এক্ষুনি হস্টেল থেকে উঠে যেতে হবে। ঘর খালি করে দিতে হবে। কোনদিকে যাব আমরা? দু-তিন দিন তো সময় লাগবে। হাতজোড় করে দু’টো দিন সময় চাইছি, কে শুনবে আমাদের কথা? কতটা নির্মম পরিস্থিতি ভাবুন। বিকল্প ব্যবস্থা না করেই ওই বাড়ি খালি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | প্লেন দুর্ঘটনা, মোদিজি, আদানি, টাটা এবং এয়ার ইন্ডিয়া
এসব খবর নিয়ে একটা কথাও বলেছেন আমাদের কাঁথির খোকাবাবু বা কেন্দ্রের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার? আমাদের বেশ মনে আছে সেই পোস্তা ব্রিজ ভাঙার ঘটনার পরে এক দায়িত্বজ্ঞানহীন মোদিজির বক্তব্য, তিনি বলেছিলেন এটা অ্যাক্ট অফ গড নয়, এটা অ্যাক্ট অফ ফ্রড। ভগবান নয়, কিছু দুর্নীতিবাজ মানুষের জন্য দুর্ঘটনা হয়েছে। এখন তিনি পকেটে মঁ ব্লাঁ গুঁজে ছবি তোলাতে যাচ্ছেন। এখানেই তো শেষ নয়, দেশজুড়ে দুর্ঘটনার মিছিল। মহারাষ্ট্রের পুনের কাছে ইন্দ্রায়নী নদীর উপর ভেঙে পড়ল সেতু! রবিবার দুপুরে ওই দুর্ঘটনার সময় সেতু থেকে প্রায় ২০ জন নদীতে পড়ে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও ১০-১৫ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খরস্রোতা নদীর জলের তোড়ে কয়েক জন ভেসে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৩২ জন, তাঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে তিনিও কিছু বলেননি। ইন্দ্রায়নী নদীর কাছে এই পুরনো সেতুটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। সপ্তাহ শেষের ছুটিতে নদীর ধারে এবং পুরনো সেতুর উপর অনেক পর্যটকই ভিড় করেন। রবিবারও পর্যটকদের ভিড় ছিল সেতু এবং আশপাশের এলাকায়। দুর্ঘটনায় যাঁরা তলিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। ইন্দ্রায়নী নদীর উপর ওই সেতুটা দেখলেই বোঝা যাবে, দৃশ্যতই জরাজীর্ণ অবস্থা। সেটা দিয়ে যান চলাচল অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বর্ষাকালে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে, সেখানে খরস্রোত দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেন। কিন্তু না আছে কোনও সতর্কবার্তা, না আছে উদ্ধার বা বিপর্যয় সামলানোর কোনও ব্যবস্থা।
তবে একনাথ শিন্ডে যথারীতি সেই গতবাঁধা কথাটা বলে রেখেছেন, যা প্রত্যেক দুর্ঘটনার পরেই বলা হবে। “এই দুর্ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। দুর্ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের শাস্তি হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।” মহারাষ্ট্র থেকে চলুন মধ্যপ্রদেশ, ফের সেতু ভেঙে বিপত্তি। রবিবার দুপুরে সে রাজ্যের শিবপুরী জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ছ’জন শ্রমিক। প্রত্যেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনের শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। ক’দিন আগেই এই মধ্যপ্রদেশ সরকারের দেখরেখে তৈরি হয়েছে এক আশ্চর্য ফ্লাইওভার, বিশ্বের একমাত্র ফ্লাইওভার যার একটা মোড় এক্কেবারে ৯০ ডিগ্রিতে তৈরি করা। শোনা যাচ্ছে সেটা ভেঙে ফেলা হবে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ৮০ কোটি টাকা খরচ করে এই ভেঙে পড়া সেতুটা তৈরি করছিল মধ্যপ্রদেশের পূর্ত দফতর। এবং প্রতিবারের মতো এবারেও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্মাণকারী সংস্থাকে নোটিস দিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও। তদন্তে গাফিলতি উঠে এলে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সে পরিকল্পনার শেষ তো মানুষ জানতে পারবে না কোনও দিন। এবারে মধ্য ভারত থেকে চলুন উত্তরাখণ্ডে, রুদ্রপ্রয়াগ, ১৫ জুন রবিবার ভোর ৫টা ২০। স্ত্রী ও ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে কেদারনাথ মন্দির দর্শন সেরে নিশ্চিন্ত মনে হেলিকপ্টারে ওঠেন মহারাষ্ট্রের রাজকুমার সুরেশ জয়সওয়াল। সঙ্গী ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আরও দুই দর্শনার্থী এবং বদ্রীনাথ মন্দির কমিটির এক কর্মী। গুপ্তকাশীর হেলিপ্যাডে নামার কথা ছিল তাঁদের। দশ মিনিটের যাত্রাপথ। নামার কিছুক্ষণ আগেই গৌরীকুণ্ড এবং সোনপ্রয়াগের মধ্যে ঘন জঙ্গলে ভেঙে পড়ে তাঁদের হেলিকপ্টার। পাইলট সহ মৃত্যু হয় সাতজনেরই। এবছর চারধাম যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকে বারবার একই ঘটনা ঘটে চলায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা আর প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। আট দিন আগে ৭ জুন কেদারনাথ যাওয়ার পথে যান্ত্রিক ত্রুটি টের পেয়ে পাইলট জাতীয় সড়কের উপর হেলিকপ্টার নামিয়ে দিয়েছিলেন। তাই প্রাণে বাঁচেন দর্শনার্থীরা। চল্লিশ দিনের মধ্যে এই নিয়ে পাঁচ পাঁচ বার দুর্ঘটনা ঘটল। মে মাসে হেলিকপ্টার ভেঙে ছ’জন প্রাণ হারান। পরপর দর্শনার্থীদের প্রাণহানিতেও উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের হুঁশ ফেরেনি, কোনও কার্যকরী ব্যবস্থাই যে নেওয়া হয়নি তা ফের এদিনের দুর্ঘটনা থেকেই প্রমাণিত হল।
এই হেলিকপ্টার পরিষেবার দায়িত্বের রয়েছে আরিয়ান এভিয়েশন হেলিকপ্টার নামে এক বেসরকারি সংস্থা। পাইলট চেষ্টা করেছিলেন উপত্যকার মধ্যে থেকে হেলিকপ্টার তাড়াতাড়ি উড়িয়ে নিয়ে আসার। কিন্তু গৌরীকুণ্ডের কাছে এসে তা ভেঙে পড়ে। জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দেহগুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশ প্রশাসন নয়, স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী খামারের গবাদিপশুর জন্য খাবার আনতে জঙ্গলে ঢোকেন। তাঁরাই প্রথম ভাঙাচোরা হেলিকপ্টার দেখতে পান। খবর দেন থানায়। তখনও হেলিকপ্টার থেকে ধোঁয়া বেরচ্ছে। তারপর জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা সাতটা নাগাদ গৌরীকুণ্ডে পৌঁছন। সেখান থেকে ট্রেক করে পৌঁছন জঙ্গলে। প্রায় দু’ঘণ্টা পর উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সাতজনের পোড়া দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। এবং বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এক্কেবারে কপিবুক স্টাইলে সেই কথাগুলোই বলেছেন যার বয়ান সম্ভবত বছর দশেক পুরনো। তিনি বলেছেন, “প্রত্যেক যাত্রীর প্রাণের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আগামী দু’দিন এই হেলিকপ্টার পরিষেবা বন্ধ থাকবে।” গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে গত ৮ মে উত্তরকাশীতে হেলিকপ্টার ভেঙে ছ’জনের মৃত্যু হয়। তার চারদিনের মাথায় ১২ মে বদ্রীনাথ থেকে সেরসি আসার পথে খারাপ আবহাওয়ার জন্য উখীমঠের একটি স্কুলের খেলার মাঠে হেলিকপ্টার নামিয়ে দেন পাইলট জরুরি ভিত্তিতে। কোনও হতাহত ছিল না। আবহাওয়া ঠিক হতে এক ঘণ্টা পর ফের হেলিকপ্টারটি উড়ে যায়। গত ১৭ মে কেদারনাথ হেলিপ্যাডের কাছে এইমস ঋষিকেশের একটি হেলি অ্যাম্বুল্যান্স ভেঙে পড়ে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পাইলটকে উদ্ধার করা হয়। মানে বিজেপির শাসনও চলছে, দুর্ঘটনা তাল মিলিয়েই বাড়ছে। ২০২৫-কে আমরা দুর্ঘটনার বছর বলতেই পারি, কিন্তু জানতে তো ইচ্ছে হবেই, এটা অ্যাক্ট অফ গড নাকি অ্যাক্ট অফ ফ্রড? শুভেন্দু অধিকারি কি এই প্রশ্নের জবাব দেবেন?