কলকাতা: ট্যাংরা কাণ্ডের (Tangra Case) পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। সেই জট খুলতে তৎপর তদন্তকারীরা। ট্যাংরার দে পরিবারের দুই ভাই প্রসূন, প্রণয় এবং প্রণয়ের নাবালক পুত্র বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রণয় ও তাঁর ছেলে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন প্রণয় ও তাঁর ছেলে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ বিল কে মেটাবে? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দেনার দায় ডুবে রয়েছে দে পরিবার। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার বিপুল খরচ কী মেটাতে পারবে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রণয় বা তাঁর নাবালক পুত্রের বিল মেটানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি।
ট্যাংরায় একই পরিবারের ৩ সদস্যের খুনের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ময়নাতদন্তের (Post Mortem Report) প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে ট্যাংরার দে পরিবারের দুই বউ ও নাবালিকা মেয়েকে। তথ্য ও প্রমাণ লোপাট দেখে ট্যাংরার দুই বধূ ও কিশোরী মেয়েকে যে বেশ কয়েকদিন ধরে নিখুঁত ছক কষে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট। বাড়ির দুই বধূকে খুনের নেপথ্যে কি প্রণয়? ট্যাংরার ঘটনায় এখনও উত্তর মেলেনি বহু প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৎপর তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট সহ রাজ্যে সমস্ত আদালতের আইনজীবীদের ধর্মঘটের ডাক
পুলিশের দাবি, কয়েক কোটি টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল দে পরিবারের। সেই ধার শোধ করার জন্য এই চরম সিদ্ধান্ত। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুম ও প্রেসারের ওষুধ মিশিয়ে পায়েস তৈরি করা হয়েছিল। তা খাওয়ানো হয় পরিবারের সকলকে। তা খেয়ে মৃত্যু হয় নাবালিকার। পুলিশের অনুমান, দুই বউ আছন্ন হয়ে যান। সেই কারণে ১৮ তারিখ সকালে তাঁদের খুন করা হয়। অথচ কোথাও কোনও সুইসাইড নোটের চিহ্ন নেই। প্রমাণ ছাকতে বাড়ির ২২টি সিসিটিভির তারের সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ঘটনা ঘটানো হয়েছে অন্ধকারে। কারণ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে জ্বালানো হয়নি বাড়ির আলো। সকাল থেকে বন্ধ করে রাখা হয় বাড়ির প্রত্যেকের মোবাইল। পুলিশের সন্দেহ এই খুনের ঘটনায় প্রণয় ও প্রসূন দে ও প্রসূন দে নাবালক ছেলের দিকে। খুনের ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে শুক্রবার ট্যাংরা থানা ও লালবাজারের গোয়েন্দাদের টিম। এই ঘটনার আরও গভীরে পৌঁচ্ছাতে প্রণয় ও প্রসূন দে-কে জেরা করতে পারে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন