ওয়েব ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) নিয়ে আলোচনার জন্য জেলেনস্কিকে মস্কোয় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিন। তবে রুশ (Russia) প্রশাসনের এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ইউক্রেন (Ukraine)। উল্টে ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) কিয়েভে ডেকে পাঠালেন ভোলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)। কড়া ভাষায় তিনি পুতিনকে নিশানা করে বলেন, “সন্ত্রাসের দেশে আমি যাব না।” শান্তি আলোচনায় আগ্রহ থাকলে পুতিনকে কিয়েভে এসে বৈঠক করার বার্তা দেন তিনি। আচমকা জেলেনস্কির এরকম অবস্থান নেওয়ায় ধাক্কা খেল দুই দেশের সম্ভাব্য শান্তি উদ্যোগ, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “আমার দেশ প্রতিদিন মিসাইল হামলার শিকার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি মস্কো যেতে পারি না। ওই সন্ত্রাসের রাজধানীতে ইউক্রেনের প্রতিনিধি হয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই।” তিনি আরও বলেন, “পুতিন যদি সত্যিই আলোচনায় আগ্রহী হন, তবে তাঁর উচিত কিয়েভে এসে কথা বলা। যারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তারা আলোচনা করতে চাইছে না—বরং অন্য উদ্দেশ্যে প্রস্তাব দিচ্ছে।” জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পুতিন আমেরিকার সঙ্গে রাজনৈতিক খেলায় লিপ্ত।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে শি! চীনের পরিকল্পনায় সমস্যা বাড়বে ভারতের?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে দুই দেশপ্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেও কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি তিনি। আসলে আমেরিকা দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে এক টেবিলে বসিয়ে শান্তির পথ খুঁজে বের করতে চায়। সেই প্রেক্ষাপটে পুতিন জেলেনস্কিকে মস্কোয় আমন্ত্রণ জানান এবং সম্পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। তবে জেলেনস্কির আপত্তিতে সেই উদ্যোগ আপাতত ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
চীন সফর শেষে পুতিন বলেছিলেন, “আমি কখনও শান্তি বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিইনি। যদি বৈঠক সফল হয়, তা অবশ্যই ভালো হবে।” তিনি জানান, ট্রাম্প তাঁকে এই বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দেন, “অবশ্যই সম্ভব, যদি জেলেনস্কি প্রস্তুত থাকেন। তিনি চাইলে মস্কোয় আসতে পারেন।” তবে জেলেনস্কির স্পষ্ট আপত্তিতে সেই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে কী না, তা আপাতত অনিশ্চিত।
দেখুন আরও খবর: