Friday, September 12, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollনিরাপত্তায় ঘাটতি! যাদবপুর কাণ্ডে বিরাট মন্তব্য সিকিউরিটি ইন-চার্জের
Jadavpur University

নিরাপত্তায় ঘাটতি! যাদবপুর কাণ্ডে বিরাট মন্তব্য সিকিউরিটি ইন-চার্জের

পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জলে পড়ে যাওয়ার ফলেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা

ওয়েব ডেস্ক: ফের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুকে (Student Death)  ঘিরে খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নাম। এবার ক্যাম্পাসের মধ্যেই উদ্ধার হল ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার রাতে ৪ নম্বর গেটের পাশে ঝিলপাড়ের পাশেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় অনামিকা মণ্ডলের দেহ। তিনি কলকাতার নিমতা এলাকার বাসিন্দা। আর এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ইন-চার্জ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে (Security in-Charge) থাকা মুকুল চন্দ্র দাস কলকাতা টিভিকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁর দাবি, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বজায় রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা করা হলেও কর্মীর সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। গত ছয় মাসে প্রায় ৭০ জন বহিরাগতকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দিতে হয়েছে বলে জানান নিরাপত্তা ইন-চার্জ। তবে তিনি এও মনে করেন যে, নিরাপত্তায় ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে।

আরও পড়ুন: আজই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় টাস্ক ফোর্স!

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঝিল পাড়ে ছাত্রীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন অন্যান্য পড়ুয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশে বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনামিকার দেহ উদ্ধার করে কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জলে পড়ে যাওয়ার ফলেই তাঁর মৃত্যু হতে পারে। যদিও ছাত্রীর আত্মীয় ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঝিলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ফলে এটি আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা—তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিশ ইতিমধ্যেই মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছে।

দেখুন আরও খবর:

Read More

Latest News