ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে বিরাট স্বস্তি পেল আম্বানি পরিবার। গুজরাতের (Gujarat) জামনগরে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অধীন ‘বনতারা’ (Vantara) বা গ্রিনস জুলজিক্যাল রেস্কিউ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নিয়ে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষ তদন্ত দল কোনও অসঙ্গতির প্রমাণ পায়নি। তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বনতারা কেন্দ্র আইন মেনে চলছে এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও সংশ্লিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করেই প্রাণীদের সংগ্রহ ও যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিথল এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের বেঞ্চ তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাঁরা জানিয়েছে, বনতারা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ ও নিয়ম অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং প্রাণীদের প্রতিপালন ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আদালত জানিয়েছে, রিপোর্টের ভিত্তিতে বিস্তারিত নির্দেশিকা আজই জারি করা হবে।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ওয়াকফ আইনে কাদের ক্ষমতায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ? জেনে নিন
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই বনতারায় তদন্ত করার জন্য সিট গঠন করা হয় ২৫ অগাস্ট। আদালতের মতে, বনতারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং পরিবেশ সংস্থা থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান জরুরি ছিল। অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল—বেআইনিভাবে প্রাণী সংগ্রহ, বিশেষত হাতি, এবং বিদেশ থেকে প্রাণী আনার ক্ষেত্রে আইনভঙ্গ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য চার সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল গঠিত হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি।
এর আগে, ১৪ অগাস্ট আদালত মামলাকারী সি আর জয়া সুকিনের আবেদনকে সম্পূর্ণ অস্পষ্ট বলে মন্তব্য করেছিল। ওই আবেদনটিতে বনতারা কেন্দ্রের বন্দী হাতিগুলিকে তাদের প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছিল। তবে তদন্তে কোনও বেআইনি কার্যক্রম প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত কেন্দ্রের পক্ষেই মত দিয়েছে। এই পর্যবেক্ষণের পর আদালত মন্তব্য করেছে যে বনতারা কেন্দ্র দেশের গর্ব এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নিয়ম মেনে পরিচালিত এই ধরনের উদ্যোগকে উৎসাহিত করা উচিত বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: