ওয়েব ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) সরকারি আবাস (Government Bungalow) বরাদ্দে গড়িমসির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে (Central Government) ভর্ৎসনা করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। পছন্দমাফিক কাউকে আবাস বরাদ্দ করা বা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। যদিও সরকারের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়, বিষয়টি সকলের জন্য সমান। মন্তব্যসহ সরকারি আবাস বরাদ্দের সরকারি নীতি এবং আবাস বরাদ্দের নথি এবং অপেক্ষমান প্রার্থীদের তালিকা ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি শচীন দত্ত।
দিল্লিতে কেজরিওয়ালের জন্য সরকারি আবাস বরাদ্দ করার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আম আদমি পার্টি (AAP)। নির্দিষ্টভাবে ৩৫ লোধি এস্টেটে কেজরিওয়ালের জন্য বাংলো চাওয়া হয়। আপের এমন প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি পদক্ষেপ জানার জন্য সরকারি আইনজীবী সময় চান। বাংলোটি পূর্বে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর হেফাজতে ছিল। এই বছরের মে মাসে সেটি ফাঁকা হয়। ইতিমধ্যেই সেটি অন্য কাউকে বরাদ্দ করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ আপ-এর পক্ষের আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন ট্রাম্প, বরফ গলছে?
যখনই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে সরকারি আইনজীবী পরে শুনানির জন্য আবেদন করেন। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে শুনানিতে পাওয়াই যায় না। আর এই ফাঁকে বাংলোটি অন্য কাউকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি আইনজীবী জানান, বাংলোটি এক রাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক বিস্তারিত তথ্য পেশ করার জন্য তাঁর সময় প্রার্থনা। তবে কোনও রাজনৈতিক দল নির্দিষ্ট বাংলো বরাদ্দ করার জন্য দাবি করতে পারে না বলেও তিনি জানান।
বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। একদিকে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন, আর সেই ফাঁকে ৩৫ লোধি এস্টেট কাউকে বরাদ্দ করে দেওয়া হল। বিষয়টি আপনাদের কাছে গুরুত্বহীন। গতবারও একই জিনিস ঘটেছে। তার আগের দিনেও তাই। মামলার নথিতেই তা স্পষ্ট। ওয়েটিং লিস্টের জন্য বরাদ্দকরণ পিছোতে পারে না। জেনারেল পুল থেকে আবাস বরাদ্দের সরকারি নীতি কী আমি জানতে চাই। ওয়েটিং লিস্ট দেখতে হবে। পছন্দমতো কাউকে বাছাই করতে পারেন না। কবে ওই বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে দেখতে চাই। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সরকারের কাছে আবাস বরাদ্দের আবেদন করা হয়। পরে আরও একবার বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবর ৬ ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডের সরকারি আবাস কেজরিওয়াল ছেড়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর। তখন থেকে তিনি এক দলীয় নেতার সরকারি আবাসে অস্থায়ীভাবে থাকছেন বলে আদালতকে জানিয়েছে আপ।
দেখুন অন্য খবর: