ওয়েবডেস্ক- ‘হিমালয়ের অস্তিত্ব সংকটে।’ সেখানে ক্ষেত্র বিভাজন, অরণ্যবিনাশ, খনন ও নির্মাণ ইত্যাদি কিভাবে, কোন নীতিতে চলছে? অভিমত সহ হিমাচল সরকারের (Himachal Government) প্রতি প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) । প্রবল বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) রাজ্যের বহু জায়গায় সাম্প্রতিক ধস, হড়পা বান ইত্যাদি ধ্বংসলীলার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থান এবং পরিবেশগত অবস্থা সম্পর্কে রাজ্যের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব দেশের শীর্ষ আদালতের। বস্তুত সেখানকার ভয়ংকর ধারাবাহিক বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় আদালতের এমন নির্দেশ।
নিয়ন্ত্রণহীন উন্নয়ন কাজের পরিপ্রেক্ষিতেই সেখানকার স্বাভাবিক ভঙ্গুর পরিস্থিতি বিপর্যয়কর অবস্থার সম্মুখীন। যার ফলে সেখানে অস্তিত্ব সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহেতার ডিভিশন বেঞ্চ। একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, চার লেনের হাইওয়ে নির্মাণ, অরণ্য বিনাশ এবং বহুতল নির্মাণের কারণে সেখানে বিপর্যয় আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তাই এই পরিস্থিতির জন্য “প্রকৃতি নয়, দায়ী মানুষ” শুনানিতে মন্তব্য আদালতের।
সেখানকার সাম্প্রতিক বন্যার জলে ভেসে আসা বিপুল সংখ্যক কাঠের গুঁড়ির ভিডিও চিত্র দেখে সম্প্রতি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, পাহাড়ে বেআইনি গাছ কাটার প্রমাণ এই চিত্র।
আরও পড়ুন- ইপিএফও নিয়মে বদল আনছে কেন্দ্রীয় সরকার!
উল্লেখ্য, বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ ২৫ আগস্ট বর্ষীয়ান আইনজীবীকে পরমেশ্বরকে আদালত বান্ধব নিয়োগ করে। হিমাচল সরকারের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ওই আইনজীবী বিস্তারিত প্রশ্নমালা তৈরি করেন। মূলত সেখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে। সেই প্রশ্নমালাকে স্বীকৃতি দিয়ে এবার রাজ্যের জবাব তলব আদালতের।
দেখুন আরও খবর-