ওয়েব ডেস্ক : পারমাণবিক কর্মসূচির (Nuclear Program) জন্য ইরানের (Iran) উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করল রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN)। যার ফলে ইরানের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাজারে খাবারের জিনিসের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির তরফে ইরানকে উত্তেজনা না বাড়িয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। পশ্চিমের এই দেশ গুলির তরফে জানানো হয়েছে, ইরান (Iran) যেভাবে পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং সহযোগিতা করছে না, তাই সেই কারণে তাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করা হল। সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ান বলেছিলেন, এই মুহুর্তে তারা কোনও ধরণের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না।
আরও খবর : বন্দুবাজের হামলায় রক্তাক্ত আমেরিকা, মৃত ৩
প্রসঙ্গত, তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার (Barack Obama) প্রশাসনের সময় আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন, ফ্রান্স ও রাশিয়া মিললে ২০১৫ সালে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করে। সেই চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। এমনকি পরমাণু শক্তি কমিশন বা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি প্রয়োজনে ইরানের পারমানবিক কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি চালাতে পারবে। পরিবর্তে তেহরানকে অর্থনৈতিক সুবিধা ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সে সময়কার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
নতুন করে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেটির ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা আবারও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান (Iran) দীর্ঘদিন থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তাদের ড্রোন প্রযুক্তিরও দ্রুত উন্নতি ধরা পড়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব যখন ড্রোন উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তেহরান উল্টোভাবে উন্নত ‘কামিকাজে’ ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়িয়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কা বাড়ছে। ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-র ‘মিসাইল সিটি’ প্রকাশ্যে আসে। যা নয়ে উদ্বিগ্ন পশ্চিমি দেশগুলি।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জবাবে তেহরান কী পদক্ষেপ নেবে? কঠোর প্রতিক্রিয়া ও সামরিক উত্তেজনা বাড়াবে, নাকি কূটনৈতিক মঞ্চে ফের আলোচনার পথ খুঁজবে, তা ভবিষ্যই বলবে।
দেখুন অন্য খবর :