ওয়েবডেস্ক- পুজোর (Durga Puja) সময় বৃদ্ধাশ্রমে (Old Age Home) আবাসিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কিছুটা হলেও পুজোর আনন্দ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ই শুরু হয়েছিল চেতলা নবনীড় এ দুর্গা পুজো (Chetla Nabanir)
প্রতিবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন পুজোর আগে মিলিত হতে ও তাদের খোঁজ খবর নিতে ও সরেজমিনে দেখতে আসেন। পাশাপাশি সাড়া বছর তাদের খেয়াল রাখার দায়িত্ব দিয়ে যান স্হানীয় দলীয় নেতৃত্ব তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। তারাই পুজোর সমস্ত কাজকর্ম করেন। সেই পুজোর ই ষষ্ঠীর দিনের কিছু ঝলক।
ষষ্ঠীর দিনে রীতিমতো নিয়ম মেনে শুরু হয়েছে দুর্গার বোধন। আচার বিধি মেনে পুরোহিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে এখানে পুজো হয়। শামিল হন এই বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধারা। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশি সকলেই।
আরও পড়ুন- ষষ্ঠীর দিন কি বৃষ্টি হবে? কী বলছে হাওয়া অফিস
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোকে নিয়ে ভিন্ন মাত্রার চিন্তা ভাবনা রেখেছে। তাঁ শাসনকালেই দুর্গাপুজো হেরিটেজের তকমা পেয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন পুজো কার্নিভাল। বিশ্বের দরবারেও এই কার্নিভাল প্রশংসা কুড়িয়েছে। দুর্গাপুজো সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য তিনি ক্লাবগুলিকে অনুদানের রীতি প্রচলন করেন। বিরোধীদের হাজার সমালোচনা সত্ত্বেও সেগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সেইমতো জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই তিনি পুজো শামিল হওয়ার অনুরোধ জানান। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সমস্ত ধর্মের অনুষ্ঠানে শামিল হতে দেখা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী সব সময় সময় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের এই পূণ্য জন্মভূমিতে কোনও ভেদাভেদ নেই, আমরা সবাই এক।
দেখুন আরও খবর-