ওয়েব ডেস্ক: ত্রিপুরায় (Tripura) তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সরাসরি ত্রিপুরার বিজেপি (BJP) শাসিত ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারকে আক্রমণ করেন। চ্যালেঞ্জের সুরে এদিন মমতা বলেন, “হিম্মত থাকলে আটকে দেখাক।”
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের আটকে দেওয়া হয়েছে। প্রিপেইড ট্যাক্সিও নিতে দেওয়া হয়নি, বাইকেও যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি বলেছিলাম, হেঁটেই যাক তারা। যদি তবুও যেতে না দেয়, আমি নিজে যাব। হিম্মত থাকলে আমাকেও আটকাক।”
আরও পড়ুন: উওরবঙ্গে বিজেপি নেতারা মার খেলেন কেন? দলেই উঠছে প্রশ্ন
উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। বিডিও, এসডিও, ডিএম—সবাই কাজ করছে। ৪০০–৫০০টি পরিবারকে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। চাল, ডাল, কম্বল, হলুদ গুঁড়ো—সব কিছু পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দু’টি পরিবার নেপাল ও ভুটানের, তাদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকেই আগরতলা বিমানবন্দরে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। পাঁচ সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দল নামতেই পুলিশি জটিলতা শুরু হয়। অভিযোগ, দলের জন্য নির্ধারিত চারটি গাড়ির মধ্যে তিনটিকে কোনও কারণ ছাড়াই আটকে দেয় পুলিশ। এর প্রতিবাদে বিমানবন্দরের সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষসহ তৃণমূল নেতারা। পরে তারা ট্যাক্সি ভাড়া করার চেষ্টা করলেও সেটিতেও বাধা আসে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
দেখুন আরও খবর: