দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সুন্দরবনের (Sundarban) হিঙ্গলগঞ্জ থানার অন্তর্গত ভেটকিয়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনার সূত্র ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ! স্থানীয় এক গৃহবধূর অভিযোগ, স্বামী জামিরুল গাজী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন দীর্ঘ সময় ধরেই তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। রেশমা বিবি নামের ওই গৃহবধূ আরও বলেছেন, বিবাহের পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। এরপরে কর্তৃক সরকারি চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকা আনার দাবি জানানো হয়। পিতার অক্ষমতা জানালে শুরু হয় অত্যাচার। পরে পিতা মালিকানাধীন জমি বিক্রি করে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেয়া হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
রেশমা অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি গর্ভবতী হলে চার মাস পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বসিরহাটে নিয়ে ইউএসজি করলে পরদিনই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সেই নবজাতককে বাড়ির ভেতরেই মাটিতে পুঁতেফেলা হয়। ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চুপ করানো হয় বলে দাবি রেশমার। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে বেধড়ক মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সৈকত ৯ নম্বর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় রেশমাকে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর আগে ফের বাংলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস! কী বলছে হাওয়া অফিস?
হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত জামিরুল গাজীকে গ্রেফতার করেছে। তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মর্মে মামলার উচ্চ গুরুত্ব বিবেচনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। হুড়োহুড়ি করে এলাকায় প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড়। আহত রেশমা বিবি রাষ্ট্রানুগধারণা করেন,“স্বামী আমার গর্ভস্ত ভ্রূণ নষ্ট করে মাটি পুঁতে দিয়েছে; আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলছে; তদন্তের পর মামলা ও শাস্তি সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
দেখুন আরও খবর: