ওয়েব ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতে মুখ খুললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলমুক্তি—সব বিষয়েই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
নোটবন্দি ও বিজেপির এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটবন্দি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যকে কটাক্ষ করে শমীক বলেন, “নোটবন্দি তো হয়েছিল, এবার রোহিঙ্গা বন্দি, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বন্দি, মৃত ভোটার বন্দি, ভুয়ো ভোটার বন্দি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ছন্দবন্ধতা প্রতিদিন শুনে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি যার বন্দির কথা বলছেন, সেটা আসলে নিজের ও দলের পাপ ঢেকে রাখার প্রয়াস।”
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে বড় দাবি শুভেন্দুর! কী বললেন BJP নেতা? দেখুন
এরপর এসআইআর সংক্রান্ত মামলায় কংগ্রেসের হাইকোর্টে ব্যর্থতা ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, “কে কোথায় যাবে সেটা তাঁদের বিষয়। কিন্তু যারা হিন্দু শরণার্থী পশ্চিমবঙ্গে আছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার পাবেন। বিজেপি যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন ভারতীয় মুসলমান ও বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তুদের কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।”
মুখ্যমন্ত্রীর “সিএএ শিবিরে যাব না” মন্তব্য নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শমীক ভট্টাচার্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এসআইআর ও সিএএ-কে ঢাল করে মুখ্যমন্ত্রী চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না। ২০২৬-এর নির্বাচন হবে তৃণমূলের বিসর্জন।”
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর এসআইআর স্থগিত করে দেওয়ার মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, “আরজি করের কী হল? ৪০ হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে, তার কি হল? উত্তরবঙ্গে অবৈধ স্যান্ড মাইনিং, কাঠ কেটে নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়, তার উত্তর কে দেবে? কেন মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকা শিল্পপতিরা ভিন রাজ্যে নিজের পুঁজি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন? কেন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্ররা পরিযায়ী হয়ে যাচ্ছে? তার উত্তর মুখ্যমন্ত্রী আগে দিন।”
শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জেলমুক্তি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলমুক্তি মানে তিনি অভিযুক্ত থেকে মুক্ত নন, মাছ খাবে সব পাখি কিন্তু মাছরাঙ্গায় কলঙ্কিনী তা তো হতে পারেন না। আমরা আশা করব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রকৃত বিষয় জেলের বাইরে এসে বলবেন। এই পাপ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একার নয় তৃণমূল কংগ্রেসের, এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে খোলা বাজার করে দিয়েছিল সেটা একা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয় কালেক্টিভ ডিসিশন।”
দেখুন আরও খবর:







