ওয়েব ডেস্ক : সকালে হরিয়ানার ফরিদাবাদে উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরক। তার কিছু ঘন্টা পর সোমবার লালকেল্লার (Red Fort) সামনে গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি দাবি করেছেন আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করে এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করা হোক।
অভিষেক (Abhishek Banerjee) এক্স হ্যান্ডেলে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লিখেছেন, ” দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও আহত হওয়ার খবর পেয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা, এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
আরও খবর : বিহারে মসনদে নীতিশ? স্বপ্ন অধরাই রইল তেজস্বীর স্বপ্ন
তিনি আরও লিখেছেন, “রাজধানীর (Delhi) বুকে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। তাহলে এমন গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি কীভাবে হল? গতকাল সকালেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ও একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুই ঘটনাকে একসঙ্গে বিবেচনা করলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগজনক প্রশ্ন উঠে আসে। সতর্কতার অবনতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সত্য উদঘাটনে এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে প্রয়োজনে আদালতের নজরদারিতে সিট গঠন করা হোক। ”
I am deeply shocked and anguished to learn of the tragic explosion near Delhi’s Red Fort, which has reportedly claimed several lives and left many others injured. My heartfelt condolences go out to the bereaved families and my prayers are with those recovering from their…
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) November 11, 2025
অন্যদিকে, এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা য়ায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। কারণ একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের আগে বিকেল ৪টের দিকে ঘাতক গাড়িটি প্রবেশ করে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। সেই সময় ওই ঘাতক গাড়িতে ছিলেন একজন। সেখানে প্রায় ৩ ঘন্টা গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তার পরেই ঘাতক গাড়িটি আসে নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। তার পর সেখানে ঘটে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, এর নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদের হাত থাকতে পারে।
দেখুন অন্য খবর :







