ওয়েবডেস্ক- জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বড়দিঘি (Baradighi) চা বাগানের (Tea Garden) মেয়ে তৃষা টপনো (Trisha Topno) । আজ শুধু একটি নাম নয়, এক অনুপ্রেরণার প্রতীক। ভোরের আলো ফুটতেই স্টিয়ারিং হাতে টোটো (TOTO) চালিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। কখনও বাগানের সরু পথ পেরিয়ে, কখনও কুয়াশায় মোড়া চা-ঝোপের মাঝ দিয়ে ছুটে যায় মালবাজারের পরিমল মিত্র কলেজে—প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৃষা। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের ভার এসে পড়েছে তার কাঁধে। কিন্তু হাল ছাড়েনি সে। যেই টোটোর স্টিয়ারিংয়ে একসময় বাবার পাশে বসে সখে হাত রাখত, আজ সেই টোটোই তার জীবনের ভরসা, সংগ্রামের সঙ্গী।
সকালে ক্লাস, বিকেলে টোটো চালিয়ে সংসার—এই ছন্দেই এগিয়ে চলে তৃষার দিন। ক্লান্তি নেই, নেই কোনও অভিযোগ—চোখে কেবল একটাই লক্ষ্য, সরকারি চাকরি পেয়ে মায়ের মুখে হাসি ফোটানো। প্রতিদিনের লড়াই, হাসিমুখে পথ চলা, আর টোটো চালানো এই তরুণীর ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুরের বুকে ছোট্ট টাইটানিক, অনবদ্য সৃষ্টি
নেটিজেনরা বলছেন— “তৃষা শুধু টোটো নয়, চালাচ্ছে স্বপ্নের গাড়ি। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়—প্রতিদিন সকালে তৃষা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়ে দেয়, আজ কোন রাস্তায় যাবে, কোথায় টোটো চালাবে। আর সেই পোস্টে ভরে যায় উৎসাহ, ভালোবাসা আর শুভেচ্ছার বন্যায়।
সবুজে ঘেরা চা বাগানের বুক চিরে তৃষার টোটো ছুটে চলে, যেন বলে যায়—“ইচ্ছাশক্তি থাকলে, প্রতিকূলতাও একদিন পথ দেখায়।”
দেখুন আরও খবর-







