নদিয়া: নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে (Ranaghat) ফের SIR (Special Intensive Revision) আতঙ্কে মৃত্যু। ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া। মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এদিন রানাঘাটে যান তৃণমূলের রাজ্য নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। সঙ্গে ছিলেন জেলা ও ব্লক নেতৃত্বের একাধিক পদাধিকারী।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ নভেম্বর। রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের কালীনারায়ণপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চককৃষ্ণপুর গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম শ্যামল সাহা। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে SIR নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। সেই মানসিক চাপই মৃত্যুর কারণ বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ২০০২ সালের তালিকায় সবার বাবার নাম এক! চাঞ্চল্য মায়াপুরে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, দেবাংশু ভট্টাচার্য এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশীষ গাঙ্গুলি, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সজল বিশ্বাস, সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটি রাষ্ট্রীয় হত্যা। এই হত্যার রক্ত লেগে আছে অমিত শাহের হাতে। মতুয়াদের ভুল পথে চালিত করা হয়েছে। আশি লক্ষ মতুয়ার মধ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র পাঁচ হাজার মানুষও নাগরিকত্ব পায়নি। হিন্দুদের প্রকৃত শত্রু বিজেপি।”
অন্যদিকে, মৃতের ছেলে বিশ্বজিৎ সাহা জানান, “দলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস পেয়েছি। আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক কিছুই অনিশ্চিত, আমরা বুঝে উঠতে পারছি না পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে।”
মৃতের স্ত্রী শেফালী সাহা বলেন, “আমার স্বামী অনেকদিন ধরে ভয় পাচ্ছিলেন। বলতেন, নাগরিকত্ব না পেলে কী হবে। এখন উনি নেই, কিন্তু ভয়টা এখনও রয়ে গেছে।”
SIR নিয়ে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় ফের এই মৃত্যুতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি “নাগরিকত্বের নামে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে” মানুষকে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে, আর সেটাই এখন একের পর এক মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছে।
দেখুন আরও খবর:







