নয়াদিল্লি: দিল্লিতে (Delhi Incident) বিস্ফোরণের তদন্তে আরও তিন জনকে আটক করল পুলিশ। বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত চিকিৎসক মুজাফফর রাঠার পলাতক। তদন্তকারীরা মনে করছে সম্ভবত সে আফগানিস্তানে গা ঢাকা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস (Interpol Red Corner Notice) পেতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
লালকেল্লার (Red Fort) সামনে বিস্ফোরণের তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শুক্রবার বেশি রাতের দিকে হরিয়ানার ধৌজ, নুহ্ এবং সংলগ্ন কিছু এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। ওই অভিযান চলাকালীনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসক-সহ তিন জনকে আটক করা হয়। ধৃত দুই চিকিৎসকের নাম মহম্মদ এবং মুস্তাকিন। তাঁরা উভয়েই নুহ্ এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় চার চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিল মেডিক্যাল কমিশনের!
জানা গিয়েছে, মুজাফফর দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগান্দের বাসিন্দা ছিল মুজাফফর রাঠার । তদন্তকারীদের স্ক্যানারে থাকা ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই পুলিশের কাছে আসে তার নাম। তদন্তে এও জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে উমর নবি, দাদা মুজাম্মিলের সঙ্গে মুজাফফরও তুরস্কে গিয়েছিল ‘প্রশিক্ষণ’ নিতে। গত আগস্ট থেকেই দেশছাড়া মুজাফফর। সম্ভবত সে আফগানিস্তানে রয়েছে। তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছে, ”তদন্তের ভার রয়েছে এসআইএ-র হাতে। তাই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সরাসরি ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস চাইতে পারে না। এবার এক কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষে রেড কর্নার নোটিস জারি করা সম্ভব। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে।”
অন্য খবর দেখুন







