Monday, November 17, 2025
HomeScrollহাসিনার বিরুদ্ধে রায় 'রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড"!
Sheikh Hasina

হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ‘রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড”!

এই মামলার সঙ্গে যারা জড়িত তারা প্রায় সবাই স্বাধীনতা বিরোধী!

ওয়েব ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। হাসিনাকে তিনটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করল আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। এক, উস্কানি দেওয়া। দুই, হত্যার নির্দেশ এবং তিন, দমনপীড়ন আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা। বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের বিশেষ আদালত। অন্য অভিযুক্ত প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুনকে মাত্র পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর এই রায়কে ‘পূর্ব পরিকল্পিত, এটা রাজনৈতিক ভাবে মোটিভেটেড’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের নেতা তথা প্রাক্তন সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বিরুদ্ধে মামলার রায় পূর্ব পরিকল্পিত, এটা রাজনৈতিক ভাবে মোটিভেটেড। এই মামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাঁরা প্রায় সবাই স্বাধীনতা বিরোধী। জামাত শিবির এরাই হচ্ছে বিচারক, প্রসিকিউটর, আইনজীবী সবাই। ক্যাঙ্গারু কোর্ট, প্রহসনমূলক সাজানো মামলায় অবৈধ বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে একটা পূর্ব পরিকল্পিত রায়। বাংলাদেশের জনগণ এই রায় প্রত্যাখ্যান করবেন, এই অবৈধ সরকারের অবৈধ ট্রাইব্যুনালের রায় বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে। শেখ হাসিনা এটাকে কোনো প্রকার কেয়ার করেন না। সারা বিশ্ব একদিন দেখবে, বাংলাদেশের একজন নোবেল জয়ী, দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকেও ফাঁসিতে ঝুলতে হবে।”

আরও খবর : শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডই দিল বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, এদিন যে সমস্ত ফোনালাপ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা এআই সহায়তায় প্রমাণিত নয়। রায়ের শেষ অংশ থেকে বিচারপতি পড়ে শোনান, ‘‘ছাত্রদের কথা শোনার পরিবর্তে আন্দোলনকে অবহেলা করেছেন হাসিনা। আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকার বলে অপমান করেছেন। হাসিনার পক্ষে আইনজীবী দাবি করেছেন, কাউকে হাসিনা অপমান করেননি। কোনও হেলিকপ্টার আন্দোলন ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়নি। আন্দোলন দমনে নিজে সরাসরি যোগও দেননি। আন্দোলনকারীদের সংখ্যাই সরকারি হিসাবে ৮০০। তা হলে দেড় হাজার আন্দোলনকারীর মৃত্যু হল কী ভাবে? প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনার আইনজীবী। বিচারপতি রিপোর্টের অংশ পড়ে বলেন, ‘‘অপরাধের জন্য ক্ষমা চাননি হাসিনা। তাঁর অনুশোচনা নেই। বরং আধিকারিকদের এবং ট্রাইব্যুনালের কর্মীদের হুমকি দিয়ে গিয়েছেন।”

এদিন বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ী তাঁরা শাস্তির যোগ্য। জানান বিচারপতি। এদিন রায় দেওয়ার সময় ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছে, যেহেতু হাসিনা ও কামাল দু’জনেই পলাতক, তাই অর্ডার কপি তাঁদের দেওয়া হবে না।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News