ওয়েব ডেস্ক: মাসখানেক আগেই কাশির সিরাপ কাণ্ডে (Cough Syrup Case) তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। বিষাক্ত ওষুধের অবৈধ ব্যবসা (Illegal Medical Business) বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সেসবের মাঝেই রমরমিয়ে অবৈধভাবে কাশির সিরাপের ব্যবসা চলছিল ডবল-ইঞ্জিন যোগীরাজ্যে। আর সেই জালিয়াতির বিরুদ্ধে এবার সক্রিয় হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রশাসন। কোডিন-ভিত্তিক কাশির ওষুধের অবৈধ বাণিজ্য ঘিরে বড়সড় জালিয়াতির অভিযোগে ১২ জন মেডিক্যাল স্টোর মালিক সহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হল এফআইআর।
রবিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ও ঔষধ দফতরের কর্মকর্তারা। জানা গিয়েছে, ড্রাগ ইন্সপেক্টর রজত কুমার পাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন এই জালিয়াতি চক্রের মূলপাণ্ডা শুভম জয়সওয়াল এবং তাঁর বাবা ভোলা প্রসাদ। তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতারণা, জাল নথি তৈরি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে দিল্লির দূষণ! কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের পথে সরকার
এই চক্রের গভীরে পৌঁছতে তদন্তে নামে সে রাজ্যের ড্রাগ দফতর। তাতেই দেখা যায় যে, রাঁচিভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রায় ৩৭ লাখ বোতল কোডিন সিরাপ কাগজে-কলমে বিভিন্ন জেলার মেডিক্যাল স্টোরে বিক্রি হয়েছে বলে দেখানো হয় কিন্তু বাস্তবে সেগুলি বেআইনিভাবে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের কালোবাজারে পাচার করা হয়। এই সিরাপের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৭ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে ড্রাগ দফতর।
উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদে কোডিন সিরাপ বোঝাই একটি ট্রাক আটক হওয়ার পরই গোটা পাচারচক্র সামনে আসে। এরপর ১২ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এফএসডিএ উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিশেষ অভিযান চালায়। এই অভিযানে বিলিং, স্টক রেজিস্টার এবং অন্যান্য নথিতে ব্যাপক জালিয়াতির প্রমাণ মেলে।
দেখুন আরও খবর:







