দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) অন্তর্দ্বন্দ্ব। সোনারপুর (Sonarpur) ব্লকের কালিকাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান (Panchayat Pradhan) দেবশ্রী নস্কর এবং উপপ্রধান মাধব মণ্ডলকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থার (Harassment) অভিযোগে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্ত্বর। ঘটনায় তৃণমূলেরই দুই সদস্য, সাইনাজ বেগম ও রবীন মণ্ডলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রধান ও উপপ্রধানের দাবি, শনিবার কালিকাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান ও উপপ্রধান নিজেদের চেয়ারে বসে সরকারি কাজকর্ম দেখছিলেন। ঠিক সেই সময় আচমকা সাইনাজ বেগম ও রবীন মণ্ডল প্রায় ৫০ জন অনুগামীকে নিয়ে অফিসে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, প্রধান দেবশ্রী নস্করকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়, গালিগালাজ করা হয় এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করারও চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! প্রকাশ্যে কর্মীকে আক্রমণ নেতার, হুলুস্থুল কাণ্ড
কালিকাপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েতে তীব্র মতবিরোধ চলছিল। উপপ্রধান মাধব মণ্ডলের অভিযোগ, কমিটির সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় তাঁকে সরানো হয়েছিল। তার পর থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এদিনের হামলা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনার পর বিরোধী দলগুলি তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে। বাম নেতা ও আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী বলেন, গায়ের জোরে তৃণমূল এই পঞ্চায়েত দখল করেছিল। এখন নিজেদের মধ্যেই অনাস্থা ও ক্ষমতার লড়াই প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপিও দাবি করেছে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অশান্তির ফলে সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
দেখুন আরও খবর:






