মুর্শিদাবাদ: বছর পেরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election 2026)। তার আগেই রাজ্যে চলছে এসআইআরের কাজ। এসআইআর ও এনআরসির আতঙ্কে রয়েছেন রাজ্যের অনেক মানুষই। বহরমপুরের স্টেডিয়ামের সভা স্থল থেকে এসআইআর ও এনআরসি ইস্যাতে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। আমার গলা কেটে দিলেও এখানে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। পরিযায়ী শ্রমিক, নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে গঙ্গাভাঙন থেকে ওয়াকফ বিল—একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার তীব্র আক্রমণে শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতার কথায়, ‘ভাগ্যিস বীরভূমে আমি জন্মেছিলাম! নয়ত আমাকেও বাংলাদেশি বলত। তারপরই সবাইকে আশ্বস্ত করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। ওপার বাংলা থেকে ছিন্নমূল হয়ে আসা মানুষেরাও ভারতীয় নাগরিক। তাই বাংলায় এনআরসি কার্যকর হবে না। আমার গলা কেটে দিলেও এখানে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না, কাউকে তাড়াব না। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এখনও নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলিনি। যত ক্ষণ না আপনাদের সকলের নাম উঠছে, তত ক্ষণ আমি নিজের নাম তুলব না। প্রতিটা বুথে বুথে ‘মে আই হেল্প ইউ’ ক্যাম্প করতে বলেছি, যাতে আপনাদের সুবিধা হয়। বিজেপি কান খুলে শুনে নাও, বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না।’’
আরও পড়ুন: ভয় নেই, পাশে আছি SIR নিয়ে আশ্বাসবাণী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিযায়ী প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিযায়ী দেখলেই অত্যাচার। মুর্শিদাবাদ আর মালদহ দেখলেই সবাই নাকি বাংলাদেশি! ভাগ্যিস বীরভূমে জন্ম হয়েছিল—না হলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত!” মমতা বলেন, রোহিঙ্গা বাংলায় কোথা থেকে আসবে? রোহিঙ্গা তো আসবে মণিপুর, মিজ়োরাম, ত্রিপুরা দিয়ে। সীমান্ত, আইটিবিপি, বিএসএফ, পাসপোর্ট, ভিসা— সবই তো কেন্দ্রের হাতে। এখন দোষ দিলে হবে?’’ বিজেপির উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘যাঁরা এসআইআর আবহে মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তো অর্ধেকের বেশি হিন্দুও রয়েছেন। যে গাছের ডালে বসেছেন, সেই ডাল কাটবেন না!’’
অন্য খবর দেখুন







