ওয়েব ডেস্ক : কাজের সময়ের মেয়াদ নিয়ে নতুন বিধি। তার জেরেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইন্ডিগোর (Indigo) বিমান পরিষেবা। এদিন দিল্লি বিমানবন্দর থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ইন্ডিগোর যত বিমান ওড়ার কথা ছিল, সমস্ত বাতিল করা হয়েছে। এর প্রভাব এসে পড়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরেও। যার ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন যাত্রীরা। তার মাঝেই নিয়ম শিথিল করল ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)। এর ফলে শুক্রবার রাত থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারেই বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত, গত নভেম্বরে বিমানকর্মীদের বিশ্রাম এবং ছুটির নিয়ম নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল ডিজিসিএ (DGCA)। বলা হয়েছিল, বিমান সংস্থাগুলি বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের বিকল্প হিসেবে গণ্য করতে পারবে না। অর্থাৎ সাপ্তাহিক ও ছুটির দিন পৃথক। এর ফলে গত ৩ দিনে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ বিমান। যার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েন বহু যাত্রী।
আরও খবর : চাপের মুখে নির্দেশিকা প্রত্যাহার DGCA-র, প্রথম ব্রেক কলকাতা টিভিতে
তবে এর পরেই নয়া এই নির্দেশিকাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ডিজিসিএ-এর তরফে। এখন থেকে বিমানকর্মীদের ছুটির দিনকেই সাপ্তাহিক বিশ্রামের দিন হিসাবে গণ্য করা হবে। ডিজিসিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেটিকে মাথায় রেখে এবং বিভিন্ন বিমান সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে আগের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এবার জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। অন্যদিকে, যে সমস্ত উড়ান বাতিল হয়েছে বা বাতিল হলে, টিকিটের সম্পূর্ণ টাকা দিতে ইন্ডিগো এয়ার লায়েন্সকে। যাত্রীরা কোথাও আটকে পড়লে হোটেলের ব্যবস্থাও করতে হবে। বিমান ছাড়তে দেরি হলে বিমান সংস্থাকে যাত্রীদের জন্য জল-খাবার তথা প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিমান পরিষেবা যদি দ্রুত সচল হয়, সেদিকে নজর রাখছে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (DGCA)। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এটি খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা। সবমিলিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ যে বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে, তা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবেই বলে আশা করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর :







