বেজিং: নতুন বছরের শুরুতেই তাইওয়ান (Taiwan) দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং (Xi Jinping)। মঙ্গলবার রাতে বর্ষবরণের ভাষণে (New Year Speech) তিনি বলেন, “তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকের মানুষ একই পরিবারের অংশ। আমাদের রক্তের বন্ধন কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। মাতৃভূমির পুনর্মিলন কেউ রুখতে পারবে না।” শি-এর এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তাহলে কি ২০২৫-এ চিন তাইওয়ান দখল করবে? এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরেই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। তবে তাইপেই এই দাবিকে বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে। চিন একটি একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্র, অন্য দিকে তাইওয়ান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত। প্রশাসনিক স্তরে দু’টি পৃথক রাষ্ট্র হলেও, তাইওয়ানের উপর নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বেজিং। বিশেষত গত বছর তাইওয়ানের নির্বাচনের পর থেকে চিনের সামরিক কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ডিসেম্বরে চিনের সামরিক কার্যকলাপ অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছে বলে দাবি করেছে তাইওয়ান প্রশাসন। চিন একাধিক বার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং তাইওয়ান উপকূলের কাছাকাছি বিপুল সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে। এর আগে, মে মাসে তাইওয়ানের নির্বাচনের পর চিন সরাসরি বলেছিল, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তারা তাইওয়ান দখল করবে।
আরও পড়ুন: “সময় ফুরিয়ে আসছে, ওকে বাঁচান…”, কাতর আবেদন নিমিশার মায়ের
এদিকে তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে আমেরিকা (USA)। ডিসেম্বরে তাইওয়ানের জন্য ৫৭ কোটি ১০ লক্ষ ডলারের সামরিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে ট্যাকটিক্যাল রেডিয়ো সিস্টেম, গান মাউন্ট এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণ। তবে আমেরিকার এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ চিন। তারা আমেরিকার এই কর্মকাণ্ডকে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র সঙ্গে তুলনা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এর ফল ভালো হবে না।
দেখুন আরও খবর: