কলকাতা: রক্ষকই ভক্ষক। কেরলে (Kerala) একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে ১১১ বছরের কারাদণ্ড দিল কেরলের একটি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট (Fast Track Court)। তিরুবনন্তপুরমে একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বুধবার এই সাজা দিয়েছে। মনোজ নামে ৪৪ বছর বয়সী গৃহ শিক্ষককে ওই শাস্তি (Punishment) দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, তাঁকে কোনও ক্ষমা করা যায় না। কারণ তিনি ওই নাবালিকার অভিভাবক। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, জরিমানা না দিলে আরও এক বছর জেল খাটতে হবে।
বিচারক আর রেখা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি ওই নাবালিকার অভিভাবক। তিনি যে কাজ করেছেন তাঁর কোনও ক্ষমা নেই। উল্লেখ্য, ওই ঘটনার কথা জানতে পেরে মনোজের স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। মনোজ একজন সরকারি কর্মী। ২০১৯ সালের দুই জুলাই ওই ঘটনা ঘটে। বিশেষ ক্লাসের কথা বলে ওই নাবালিকাকে বাড়িতে ডাকা হয়। শুধু ওই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থাই করা হয়নি, মোবাইলে তার ছবিও তোলা হয়। ওই ঘটনার পর ওই ছাত্রীটি ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তখন ওই ব্যক্তি ছাত্রীটির ছবি ছড়িয়ে দিয়ে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করে। ফোর্ট থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রী। ওই ঘটনার পর মনোজকে গ্রেফতার করা হয়। তার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। যদিও মনোজ দাবি করে ওই ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল। কিন্তু মোবাইলের ডিজিটাল নথি জানিয়ে দেয়, সে সেই সময় অপরাধস্থলে ছিল।
আরও পড়ুন: অনশনরত দাল্লেওয়ালের চিকিৎসায় সুপ্রিম কোর্টকে বার্তা আন্দোলনকারীকে কৃষকদের
দেখুন অন্য খবর: