ওয়েব ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ উপাচার্যকে (Pro Vice Chancellor) ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে অধীনস্ত সাতটি কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা (Students) বিক্ষোভ (Agitation) দেখিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষও হয়েছে। রবিবার রাতে নীলক্ষেত মোড় থেকে এই বিক্ষোভ ছড়ায়। সোমবার রাত থেকে রেল ধর্মঘট শুরু হয়। সার্বিকভাবে চাপ বাড়ছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। ফের ছাত্র আন্দোলন মাথাচাড়া দেওয়ায় ইউনুস সরকারের পতনের শুরু হতে চলেছে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে বিএনপিও অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা সবরকম আর্থিক সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। তারই মধ্যে ইউনুসকে সুদখোর বলে অডিও বার্তায় বক্তব্য রেখেছেন হাসিনা। এবার বাংলাদেশজুড়ে বড় রকমের আন্দোলনের ডাক দিল হাসিনার দল আওয়ামি লিগ।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে বিক্ষোভ, হরতাল ডাক দিল আওয়ামি লিগ। তা দমন করতে পাল্টা হুঁশিয়ারি সরকারেরও। মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের পতাকার তলায় কেউ অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস করলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউনুস সরকারকে ৪ ঘন্টা সময় দিল ছাত্ররা, এবার কী হবে?
মঙ্গলবার রাতে আওয়ামি লিগ দলের ফেসবুক পেজে প্রচারপত্র বিতরণ করা, অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে শফিকুল আলম ওই কথা লিখেছেন। আওয়ামি লিগ ঘোষণা করেছে, নির্যাতনের প্রতিবাদে ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ একাধিক দাবিতে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি হবে প্রতিবাদ সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ, ১৮ ফেব্রুয়ারি সর্বাত্মক কঠোর হরতাল হবে। উল্লেখ্য, ৫ অগাস্ট বিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসেন। তারপর থেকে বাংলাদেশে কোণঠাসা আওয়ামি লিগ। দলের অনেক নেতাকেই একাধিক মামলা দিয়ে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। অনেকে ফেরার। তারপর থেকে বাংলাদেশে সেভাবে বড় ধরনের কোনও কর্মসূচি করতে পারেনি আওয়ামি লিগ।
দেখুন অন্য খবর: