আমেদাবদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ওয়েব ডেস্ক: আমেদাবদে মেঘানি নগরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash)। ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান (Air India Flight)। জানা যাচ্ছে, গুজসেল বিমানবন্দরে বিমানটি ভেঙে পড়ে বলে। টেক-অফ করার পরই ভেঙে পড়ল বিমান। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে প্লেনে।  কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই গুজরাত পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিমানটিতে বিমানকর্মী এবং যাত্রী মিলিয়ে মোট ২৪২ জন ছিলেন। সবমিলিয়ে হতাহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। আপাতত ঘটনাস্থলে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে। গুজরাতে মখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব রকমের সহায়তার আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

বিমানটি আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। টেক-অফ করার পরই ভেঙে পড়ল বিমান। ভেঙে পড়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তাঘাট আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমদাবাদের মেঘানিনগর এলাকায় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে ঢোকার সমস্ত রাস্তা। আশপাশের একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিমানটিতে বিমানকর্মী এবং যাত্রী মিলিয়ে মোট ২৪২ জন ছিলেন। আর তাতেই আরও বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। গান্ধীনগর থেকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৯০ জন সদস্যকে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। ভদোদরা থেকে আরও ৯০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে। উড়ান সংস্থার তরফেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে গোটা ঘটনা। এই মুহূর্তে ১২টির উপরে অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে। বিমান থেকে সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ৯০ ডিগ্রি বাঁক! উদ্বোধনের আগেই বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের ‘অদ্ভুত’ রেলব্রিজ

 প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ নাগাদ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। যে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে, সেটি ৭৮৭ যাত্রীবাহী বিমান। বেশি দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে বিমানে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানিও মজুত ছিল। এত পরিমাণ জ্বালানি থাকার ফলেই আগুনের তীব্রতা এতটা বেশি।উড়ানের সময় দুর্ঘটনা ঘটে, বিমানটি আছড়ে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। বিমানটি নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের উপর ভেঙে পড়ে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূূপেন্দ্র পটেলকে ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছেন বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে।  গুজরাত সরকারকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

দেখুন ভিডিও