রায়পুর: বিজাপুর (Bijapur) ও কাঁকরের বস্তারে ( Kanker Baster) দুটি পৃথক ঘটনায় নিহত ২২ মাওবাদী (Maoist) । এই অভিযানে প্রাণ গিয়েছে এক নিরাপত্তাকর্মীরও। নিহত জওয়ান জেলা রিজার্ভ গার্ডের সদস্য (Jawan District Reserve Guard) ছিলেন, তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিজাপুর নিহত হয়েছে ১৮ জন মাওবাদী, তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বিজাপুরে দেহের পাশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া কাঁকরের সীমান্তবর্তী বনাঞ্চল থেকে ৪টি মৃতদেহও পাওয়া গেছে। বস্তার পুলিশ জানিয়েছে, বিজাপুর ও দান্তেওয়াড়া জেলার সীমানায় সংঘর্ষ অব্যাহত।
বিজাপুরের গঙ্গালুর এলাকায় মাও দমন শুরু হতেই, তার হঠাৎ করে আক্রমণ করতে শুরু করে। নির্বিচারে গুলি চালায়, এতে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেয়। সকাল ৭টা থেকে গুলি বিনিময় চলছে। জোরকদমে অভিযান চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদীদের শীর্ষ নেতাদের একটি দলকে বনাঞ্চলে ঘিরে ফেলেছে, দিনের শেষে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। কাঁকরে আরও মাওবাহিনীর উপস্থিতির কথা সূত্র মারফৎ জানতে পেরে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে মানুষের বাস নিয়ে সময় বেঁধে দিলেন ইলন মাস্ক
জেলা রিজার্ভ গার্ড এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ দল মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যার ফলে ৪ জন মাওবাদী নিহত হয়। সংঘর্ষস্থল থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ মাওবাদীদের দেহ উদ্ধা হয়েছে।
অমিত শাহ এক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, যারা আত্মসমর্পণ করবে না, সরকার তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে প্রায় ২৮৭ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছিল, যার বেশিরভাগই সংঘর্ষ হয়েছিল ছত্তিশগড়ে। এই এখনও পর্যন্ত ৮০ জনেরও বেশি মাওবাদী নিহত হয়েছে।
১৯৬৭ সালে যে জেলা থেকে তাদের সশস্ত্র অভিযান শুরু হয়েছিল, সেখান থেকেই নকশাল নামে পরিচিত বিদ্রোহীরা চিনা বিপ্লবী নেতা মাও সেতুং-এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সংগ্রাম শুরু করে। ২০০০ সালের দিকে তাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি পায়।
দেখুন অন্য খবর: