ওয়েব ডেস্ক: আধার কার্ড (Aadhar Card) স্বয়ংসম্পূর্ণ, একক নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডকে মান্যতা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির ধারাবাহিক সওয়াল নাকচ হয়ে গেল। সংশ্লিষ্ট আইনে যা বলা আছে, তার বাইরে গিয়ে আধারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, একক কোনও নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নির্ধারিত করা যায় না। তাই সওয়াল মতো এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে কোনও নির্দেশ দেওয়া যাবে না। মন্তব্য বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর।
ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) যে অন্যান্য নথিগুলির উল্লেখ করেছে, তার সঙ্গে ভেরিফিকেশনের স্বার্থে আধার জমা দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বার্গার, আলুভাজা দিয়ে দায় খালাস, উড়ান সংস্থাকে জরিমানা
যে ৬৫ লক্ষের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় বাদ গিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরিচয়ের একমাত্র প্রমাণ হিসেবে আধারকে কমিশন গ্রহণ করছে না। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চ জানায়, আধারের যা স্ট্যাটাস বা আইনি অবস্থান, তার বাইরে গিয়ে অর্থাৎ আধার আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কোনও নির্দেশ দিতে পারি না। পুট্টাস্বামী মামলায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ আমরা দিতে পারি না। আধারের নম্বরের ভিত্তিতে কোনও নাগরিকের নাগরিকত্ব, বসবাসের প্রমাণ (ডোমিসাইল) বা কোনও রকম অধিকার জন্মায় না বলে ওই আইনে ৯ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে।
বেঞ্চের এমন অভিমত প্রকাশের পরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে বায়োমেট্রিক প্রমাণের ঊর্ধ্বে উঠে আধারকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ঘোষণা করার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেঞ্চের মন্তব্য, কেন আধারকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? নাগরিকত্বের শেষ প্রমাণ হিসেবে আধারকে নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশ আমরা দেব না।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, আধার নিয়ে বারংবার এমন চাপ সৃষ্টির প্রধান কারণ, বিহারের বেশ কিছু জেলায় ১৪০ শতাংশ মানুষের আধার রয়েছে। যা প্রমাণ করে সেখানে ভুয়ো পরিচয়পত্রের রমরমা চলে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, বেশ কিছু রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গারা জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যায় আধার কার্ড সংগ্রহ করেছে।
এমতাবস্থায় খসড়া ভোটার তালিকায় যাদের নাম ভুল করে বাদ গিয়েছে, তাদের চিহ্নিতকরণ ও সাহায্য করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের তৃণমূল স্তরের কর্মী ও বুধ পর্যায়ের এজেন্টদের হাত বাড়াতে বলেছে আদালত।
দেখুন অন্য খবর: