ওয়েব ডেস্ক: বিহারবাসী কি এখনও লালু-রাবড়ির ‘জঙ্গলরাজ’-এর স্মৃতি ভুলতে পারেননি? ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) ফলাফলের ট্রেন্ড অন্তত সেই প্রশ্নকেই আবার উসকে দিচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তাতে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও বিজেপি-র (BJP) এনডিএ (NDA) জোট ২০০-র কাছাকাছি আসন দখল করতে চলেছে। অন্যদিকে, তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) ও কংগ্রেসের (Congress) মহাগঠবন্ধন (Mahagathbandhan) ৫০ আসন পার করবে কী না, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
এই ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে একটা প্রশ্ন তো উঠবেই। তেজস্বীর এই করুণ পরিণতির কারণ কী? কেন স্বপ্নপূরণ হল না মহাজোটের? কারণ খুঁজলে উঠে আসে মহাগঠবন্ধনের ভুল সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক অদক্ষতা সহ বেশ কয়েকটি কারণ।
আরও পড়ুন: বিহারে এনডিএ এগোতেই কী বললেন মনোজ তিওয়ারি?
- মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তেজস্বীর ব্যর্থতা: তেজস্বী যাদব জনপ্রিয়, পরিশ্রমী হলেও নীতীশ কুমারের মতো অভিজ্ঞ, সংগঠিত দলের মুখোমুখি দাঁড়ানোর মতো রাজনৈতিক পরিপক্বতা এখনও যে তাঁর তৈরি হয়নি, তা স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিল বিহারের ভোটাররা। তার উপর পরিবারতন্ত্রের ছাপ এবং শিক্ষাগত দুর্বলতা তেজস্বীকে নির্বাচনী মঞ্চে পিছিয়ে দিয়েছে।
- জঙ্গলরাজের অভিশাপ: বিহারের নতুন প্রজন্মের ভোটারদের বড় অংশ নীতীশ কুমারের ২০ বছরের শাসন দেখেছে—যেখানে রাস্তা, স্কুল, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তার আগের ১৫ বছরের লালু-রাবড়ির শাসনকাল এখনও বিহারবাসীর মনে দাগ কেটে আছে। সেই কারণেই মহাগঠবন্ধনের বোতামে অনেকেই হাত দিতে চাননি।
- যাদব–মুসলিম সমীকরণ: রাজ্যে ১৪ শতাংশ যাদব ও ১৯ শতাংশ মুসলিম ভোট ধরে মহাগঠবন্ধন ভেবেছিল সহজেই লড়াই জমিয়ে দেবে। কিন্তু নীতীশ কুমারের মহিলা ও যুব সমীকরণের সামনে তাঁদের এই অঙ্ক ধোপে টিকল না।
- সমন্বয়ের অভাব: মহাগঠবন্ধনের হয়ে প্রথমে রাহুল-তেজস্বী জোটের প্রচার জমেছিল। কিন্তু আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের অন্দরে টানা-হেঁচড়া দেখা যায় মনোনয়ন জমার দিনও। তাতেই বিহারবাসীর ভরসা জয় করে ব্যর্থ হল এনডিএ-বিরোধী এই জোট।
- ভুল ইস্যু প্রচার: চাকরি, দুর্নীতি, দলিত নির্যাতন—এই সবই বিহারের মূল সমস্যা। কিন্তু মহাগঠবন্ধন এসআইআর ও ভোটচুরির মতো বাইরের ইস্যুকে বারবার সামনে এনেছে, যেগুলির কোনও স্থানীয় প্রভাবই ছিল না।
দেখুন আরও খবর:







