ওয়েব ডেস্ক: হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আমেরিকার অভিবাসন নীতি থেকে শুল্ক নীতি- একাধিক নিয়মে এসেছে বদল। পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশকে দেওয়া আর্থিক অনুদানও (Foreign Aid) বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যপক জলঘোলা হয়েছে। আর এবার এটিকে কেন্দ্র করে ‘দুর্নীতি’র (Corruption) অভিযোগ আনল বিজেপি।
সম্প্রতি, ইলন মাস্ক পরিচালিত দফতর ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র (DOGE) তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে ভারতের জন্য অনুদান বন্ধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। DOGE-এর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা উন্নয়ন ও ভোটারদের বুথমুখী করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে ২১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা অনুদান দিত। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এখন এই অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: “চীন আমাদের শত্রু নয়”, দাবি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর, ভারতের রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) এই ঘটনাকে ‘ভারতের নির্বাচনে বাহ্যিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল বলেছেন, ‘মার্কিন অনুদান মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।’ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ভারতের নির্বাচনে খরচ করা কোটি কোটি মার্কিন ডলার কারা পেয়েছে?’
– $486M to the “Consortium for Elections and Political Process Strengthening,” including $22M for “inclusive and participatory political process” in Moldova and $21M for voter turnout in India.
$21M for voter turnout? This definitely is external interference in India’s electoral… https://t.co/DsTJhh9J2J
— Amit Malviya (@amitmalviya) February 15, 2025
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ইলন মাস্ক। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই ট্রাম্পের প্রশাসনে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’র প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাস্ক। এই দফতর থেকেই বিভিন্ন দেশের জন্য অনুদান পর্যালোচনা ও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: