ওয়েব ডেস্ক: নাগপুরের (Nagpur) কয়েকটি এলাকায় জারি হল কার্ফু। আওরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কার্ফু লেগেছে। জারি করেছেন মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দ্র সিংঘল। সোমবার রাতে কার্ফুর নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উত্তেজনা প্রশমিত করতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (BNSS) ১৬৩ ধারা প্রয়োগ করে কার্ফু জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আটক হয়েছে ৬০ জন দাঙ্গাবাজ।
আওরঙ্গজেবের সমাধি ভেঙে ফেলতে চায় একদল হিন্দুত্ববাদী উগ্রপন্থী। সোমবার সেই দাবিতে বিক্ষোভ করে কিছু মানুষ। বিক্ষোভের সময় কোনও পবিত্র গ্রন্থের অপমান করা হয়েছে বলে অসমর্থিত খবর ছড়াতে থাকে। এই খবর বা গুজবে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী। হিংসার মোকাবিলা করতে গিয়ে ব্যবহার হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল, লাঠিচার্জ।
আরও পড়ুন: আড়াই মাস কেটে গেলেও রাজ্যের সিইও নিয়োগ হয়নি
এদিকে নাগপুর সেন্ট্রাল (Nagpur Central) আসনের বিজেপি বিধায়ক প্রবীণ দাতকের (Pravin Datke) দাবি, এই হিংসা সম্পূর্ণ পূর্ব-পরিকল্পিত, সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। দাতকে বলেন, “সোমবার সকালে গণেশ পেঠ থানায় একটা বিক্ষোভের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। এরপর একদল দুষ্কৃতী হিন্দু বাড়িঘর এবং দোকানে ঢোকে… প্রথমে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয় তারপর অস্ত্রসমেত পরিকল্পনা অনুযায়ী হিংসা চালানো হয়।”
সোমবার দুপুর নাগাদ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের ৫০-৬০ সদস্য আওরঙ্গজেবের সমাধি উপড়ে ফেলতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এরপর এক প্রবিত্র গ্রন্থের সম্মানহানি হওয়ার গুজব ওঠে। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে সাতটার মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু যুবক এলাকায় জমা হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর শুরু হয় পুলিশের উপর পাথর বর্ষণ।
দেখুন অন্য খবর: