Sunday, October 19, 2025
HomeScrollবৈচিত্রময় হিমাচলকে কী স্বীকৃতি দিল UNESCO? জানলে গর্বিত হবেন
Himachal Pradesh

বৈচিত্রময় হিমাচলকে কী স্বীকৃতি দিল UNESCO? জানলে গর্বিত হবেন

হিমাচলের এই উপত্যকায় এখনও অনেক বিরল প্রাণীর দেখা মেলে

ওয়েব ডেস্ক: হিমালয় (Himalayas) মানেই বৈচিত্র। প্রকৃতির বিভিন্ন বিরল উপাদান পাওয়া যায় হিমালয়ের পাদদেশে। সেই সঙ্গে বরফের দেশে দেখা মেলে অনেক বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীরও। আর এইসব কারণে এবার হিমালয়ের কোলে অবস্থিত রাজ্য হিমাচলপ্রদেশকে (Himachal Pradesh) বিশেষ স্বীকৃতি দিল ইউনেসকো (UNESCO)। রাজ্যের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত লাহৌল (Lahaul) ও স্পীতি (Spiti) জেলাকে ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক অফ বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভস (World Network of Biosphere Reserves) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কী রয়েছে হিমাচলের এই দুই জেলায়? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।

স্পীতি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের আয়তন প্রায় ৭,৭৭০ বর্গকিলোমিটার, যা হিমালয়ের অন্যতম বিস্তৃত ও সংবেদনশীল অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এখানে রয়েছে পিন ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক, কিব্বর অভয়ারণ্য, চান্দ্রতাল হ্রদ এবং সারচু সমভূমি। এখানে গেলেই বরফে ঢাকা উপত্যকা, ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি, আল্পাইন হ্রদ ও হিমমরুভূমির দেখা মিলবে। একইসঙ্গে বেশ কিছু বৌদ্ধ গুম্ফাকে জীবন্ত জাদুঘরের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এই নির্জন উপত্যকার মাঝে।

আরও পড়ুন: সতীর অভিশাপ! অদ্ভুত কারণে এই গ্রামে আজও পালিত হয় না দীপাবলি

হিমাচলের এই এলাকায় কোন কোন প্রাণীর দেখা মিলবে?

  • হিম চিতা (Snow Leopard) —বিরল হলেও পিন ভ্যালি ও কিব্বর এলাকায় কখনও কখনও এই প্রাণীকে দেখা যায়।
  • হিমালয়ান আইবেক্স (Himalayan Ibex) — বাঁকানো শিংওয়ালা এই পাহাড়ি ছাগলকে খাড়া ঢালে দেখা যায়।
  • নীল ভেড়া (Blue Sheep) — হিমাচলে এই প্রাণীকে প্রায়ই দেখা যায়।
  • তিব্বতি নেকড়ে (Tibetan Wolf) — সমভূমি ও তৃণভূমিতে দলে দলে শিকার করে এই নেকড়েরা।
  • লাল শেয়াল (Red Fox) — স্পীতির প্রায় সর্বত্রই দেখা মেলে বিরলদর্শন এই শেয়ালদের।
  • হিমালয়ান মারমট (Himalayan Marmot) — দলবদ্ধভাবে থাকে, শত্রুর উপস্থিতিতে তীক্ষ্ণ সিটি দেয় এই প্রাণী।
  • হিমালয়ান মোনাল (Himalayan Monal) — হিমাচলের বনাঞ্চলে দেখা যায় এই পাখিকে।
  • ব্ল্যাক-নেকড ক্রেন (Black-Necked Crane) — শীতকালে স্পীতির জলাভূমিতে আসে এই পাখির দল।
  • হিমালয়ান স্নোকক (Himalayan Snowcock) — উঁচু পাহাড়ি ঢালে দেখা যায় এদের।

কখন যাবেন এই সুন্দর জায়গায়?

সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে যাওয়া যায়। এই সময় কুনঝুম লা ও লাচুলুং পাস খোলা থাকে। গ্রীষ্মে বুনো ফুলে উপত্যকা রঙিন হয়ে ওঠে, আর শরতের শুরুতে পরিষ্কার আকাশে ছবি তোলার জন্য আদর্শ সময়। শীতকালে তুষারপাতের কারণে চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।

দেখুন আরও খবর: 

Read More

Latest News