ওয়েব ডেস্ক: শুধুমাত্র গুজবের (Rumour) জেরে বুধবার প্রাণ হারান ১৩ জন রেলযাত্রী। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Train Accident) জলগাঁওয়ে পুষ্পক এক্সপ্রেসে (Pushpak Express) আগুন লাগার গুজবের জেরে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন যাত্রীর, এবং আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি। দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি চা বিক্রেতার ছড়ানো আগুন লাগার গুজব থেকে। আতঙ্কিত যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার চেষ্টার সময় এই বিপর্যয় ঘটে। জানা গেল, এক চা বিক্রেতার ছড়ানো গুজবের জেরেই ঘটে গিয়েছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছে- এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীরা আতঙ্কে চেন টেনে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামার চেষ্টা করেন। কিছুটা দূরে ট্রেন থামলেও ততক্ষণে বিপদ চরমে পৌঁছয়। উল্টোদিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের (Karnataka Express) ধাক্কায় রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এবং বসে থাকা যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন।
আরও পড়ুন: আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ, ৫ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক হঠাৎ ব্রেক কষেন। ফলে ট্রেনের চাকার সঙ্গে ঘর্ষণে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। সেই ধোঁয়াকে যাত্রীরা আগুন ধরে গেছে বলে ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রীরা যখন চেন টানেন, তখন পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালক ট্রেনের ফ্ল্যাশার আলো জ্বালান। উল্টোদিক থেকে আসা কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালক সেই আলো দেখে ট্রেনের গতি কমানোর চেষ্টা করলেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি।
আসলে দুর্ঘটনাটি রেললাইনের একটি শার্প টার্নে ঘটেছে। এর ফলে কর্নাটক এক্সপ্রেসের চালকের পক্ষে রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের দেখা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও, পুষ্পক এক্সপ্রেসের চালকের ব্রেক করার কারণে ট্রেনের গতি কমে যাওয়ায় যাত্রীরা অস্থির হয়ে পড়েন এবং চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, চা বিক্রেতার ছড়ানো গুজবই যদি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হয়ে থাকে, তবে তার দায় কে নেবে? রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: