ওয়েব ডেস্ক: সোমবার আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। যদিও সঞ্জয়ের ফাঁসির সাবি নিয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য এবং সিবিআই। আর এবার প্রতিবেশী রাজ্য ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ১৬ বছরের এক আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) এবং ষষ্ঠ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) দেওয়া হয়েছে। মামলার বিচারক মমতা ভোজওয়ানি এই রায় ঘোষণার সময় বলেন, “ঘটনাটি অমানবিক, নিষ্ঠুর এবং কাপুরুষোচিত। অভিযুক্তরা তাদের বিকৃত লালসা চরিতার্থ করতে তিনটি নিষ্পাপ প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।”
ছত্তিশগড়ের নির্যাতিতা কিশোরীর বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। অভিযোগ অনুযায়ী, এক প্রৌঢ় সাঁতরাম মাঞ্ঝওয়ার তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাঁতরাম আগেই বিবাহিত হওয়ায় কিশোরীর পরিবার এই বিয়েতে সম্মতি দেয়নি। এরপর প্রতিশোধ নিতে সঙ্গীদের নিয়ে কিশোরীর বাড়িতে চড়াও হন সাঁতরাম। সেই রাতে ছয় অভিযুক্ত মিলে কিশোরীকে প্রথমে গণধর্ষণ করে এবং পরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। কিশোরীর মৃতদেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। ওই রাতে অভিযুক্তরা কিশোরীর ৬০ বছর বয়সি বাবাকেও খুন করে। এখানেই শেষ নয়, পরিবারের চার বছরের এক শিশুকন্যাকেও নির্মমভাবে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! এক্সপ্রেস ট্রেন পিষে দিল একের পর এক যাত্রীকে
এই ঘটনায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ অভিযুক্ত হলেন সাঁতরাম মাঞ্ঝওয়ার (৫০), আব্দুল জব্বর (৩৪), অনিলকুমার সারথি (২৪), পরদেশি রাম (৩৯) এবং আনন্দরাম পানিকা (২৬)। ষষ্ঠ অভিযুক্ত উমাশঙ্কর যাদব (২৬) সমানভাবে দোষী সাব্যস্ত হলেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত এই মামলায় পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ গঠন করেছিল। বিচারক এই ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তদের জন্য কঠোর শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: