ওয়েব ডেস্ক: গরমকাল মানেই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু। এই মরশুমি ফলগুলো কে না ভালোবাসে। তবে চলতি বছর আম জামের দেখা মিললেও লিচুর ফলন হয়েছে কিছুটা কম। গ্রীষ্মের বাজারে লাল টুকটুকে লিচু না দেখলে কারই বা ভালো লাগে। কিন্তু বাজারগুলোতে মাঝে মধ্যে লিচুর দেখা মিললেও চড়া দামে হাতে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে আম বাঙালিকে। তবে লিচু কিনতে গিয়েই ঠকে আসেন অনেকে। অভিজ্ঞ গৃহস্থের মতে, লিচু কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু নিয়ম রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
কথায় আছে, প্রথমেই রূপ। তারপর গুণ। তাই অনেকেই রং ব্যবহার করে লিচুকে টকটকে লাল করে তোলেন। তাই কেনার আগে লিচুর রং পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। ভালো লিচু শুধু টকটকে লাল হয় না। সবুজ ও লাল রঙের মিশেলের লিচু অনেক বেশি সুস্বাদু। এখন প্রায় সকলের পকেটে বা ব্যাগে টিস্যু থাকে। লিচু কেনার আগে পারলে টিস্যু দিয়ে ঘষে নিন। দেখে নিন রং উঠছে কিনা । রং উঠলে তা ভুলেও কিনবেন না।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভার বলে পেঁপে সেদ্ধ খাচ্ছেন? খাওয়া যায় বাদাম চকোলেটও
লিচুর খোসা যদি ভালো হয়, তাহলে সেটা কিনতে পারেন। তবে লিচু কেনার আগে একটা খেয়ে দেখুন। সুস্বাদু লিচুর ভেতরের অংশ সাধারণত সাদা হয় বেশি । এবং রসালোও হয় অনেক। লিচুর ভেতরের অংশ সাদা না হলে কিনবেন না। লিচু এইভাবে না বেছে কিনলে আপনি ঠকবেন।
লিচু খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, তাই সঠিক ভাবে সংরক্ষণ জরুরি। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় লিচু একদিনের বেশি ভাল থাকে না। ফ্রিজে রাখলে আয়ু কিছুটা বাড়ে। এক্ষেত্রে, লিচু না ধুয়ে একটি ছিদ্রযুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগে বা কাগজের ঠোঙায় মুড়ে ফ্রিজের ভেজিটেবল বাস্কেটে রাখলে ৪-৫ দিন পর্যন্ত ভাল থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে ভাল হয় যদি অল্প পরিমাণে কিনে দ্রুত খেয়ে ফেলা যায়। মনে রাখবেন, ডাল থেকে ছেঁড়ার পর লিচুর পাকার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাই কেনার সময় পরিপক্ব লিচুই বাছুন।
দেখুন অন্য খবর