ওয়েবডেস্ক- সেনা ট্রাক (Army Truck) আটকানো নিয়ে চরমে সেনা পুলিশ সংঘাত (Army Police Clash)। রাজ্যজুড়ে উত্তপ্ত বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনার সূত্রপাত। তবে আগুনে ঘৃতাহুতি হয়েছে মেয়ো রোডে ভাষা আন্দোলনের তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ খোলা নিয়ে। সেই বিতর্ক আরও একধাপ সামনে এগোল। ঘটনায় বিবৃতি দিল কলকাতা পুলিশ (Kolkata police Statement)। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনীর (Indian Army) ট্রাকের চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। হেড কোয়ার্টার ট্রাফিক গার্ডের (Headquarters Traffic Guard) এক ট্রাফিক সার্জেন্টের অভিযোগের ভিত্তিতেই অই চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় (Hare street Police Station )২৮১ BNS এ মামলা রুজু।
কলকাতা পুলিশের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে নানা মহল থেকে ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে, ট্রাকটি বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল। ট্রাফিক আইন মানা হয়নি। অপর একটি গাড়ি চালকের তৎপরতার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। এটি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা, সেই কারণে দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে কলকাতা পুলিশ যাচাই না করা তথ্যের উপর বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- সেনার গাড়ি আটকাল কলকাতা পুলিশ, তারপর কী হল?
মহাকরণের (Writers’ Building) সামনের সেনার ট্রাক (Army Truck) আটকায় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ট্রাকটিকে থামায় ট্রাফিক কন্ট্রোলার। খবর যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় (Hare Street) ।ওই ট্রাকের পিছনেই আবার আসছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার গাড়ি। ট্রাফিক কন্ট্রোলের থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাফিক আইন মানা হয়নি, তাই জন্য পথ আটকানো হয়েছে। সিগন্যালও মানা হয়নি। যদিও ভারতীয় জওয়ানদের দাবি, ট্রাক অনেক ধীর গতিতেই চলছিল। সিগন্যাল খোলা থাকায় ট্রাকটি ডানদিকে বাঁক নেয়। একই সঙ্গে ওই সেনাকর্মী এ-ও জানিয়েছেন যে, পিছনে কলকাতার সিপি-র গাড়ি ছিল, তা জানতেন না তাঁরা।
দেখুন ভিডিও-