কলকাতা: বড়তলা কাণ্ডে (Bartala Rape Case) ফাঁসির সাজার নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে রায় শোনাল কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট (Bankshall Court, Kolkata)। বড়তলা ৭ মাসের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দিলেন বিচারক। বিচারক ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় মিত্র জানান, এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম অপরাধ। ঘটনার ৮০ দিনের মাথায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ড নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি নির্যাতিত শিশুটির (Child Rape Case) পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলেছে আদালত।
এই ঘটনায় মাত্র ২৬ দিনে চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারীরা। ৭ জানুয়ারি এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। দ্রুত বিচারের পর আজ বিচার ভবনের এল.ডি. স্পেশাল বিচারক, পকসো আদালতে রায় ঘোষণা করেন। রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যুবককে চিহ্নিত করেছিলেন তদন্তকারীরা। সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। মঙ্গলবার মৃত্যুদণ্ড নির্দেশ দিল আদালত। লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম রাজীব ঘোষ। ওই যুবকের বয়স ৩৪। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর এলাকায়। নিগৃহীত শিশুটি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছিল পুলিশ। হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষায় যৌন নির্যাতনের প্রমাণও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: “মহাকুম্ভ এখন মৃত্যুকুম্ভ…,” বিধানসভায় বিজেপিকে নিশানা মমতার
গত বছর ৩০ নভেম্বরের রাত প্রায় ২ টো নাগাদ, বড়তলা থানায় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান একটি শিশু ফুটপাথে কান্নাকাটি করছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই জায়গায় নাবালিকা শিশুকে দেখতে পায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, ভবঘুরেদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার শিশুটি। অন্যদিকে একই সময় দুই ফুটপাথবাসী থানায় তাঁদের ৭ মাসের শিশুকন্যার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান। তাঁরা শিশুটিকে শনাক্ত করে নিশ্চিত করে জানান ও শিশুকন্যা তাঁদের মেয়ে। এর পর চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ভর্তি করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি যৌন নিগ্রহের শিকার। তার গোপনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আঘাতের চিহ্ন রয়েছে শরীরের একাধিক অংশে। পরে শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় ৩০ নভেম্বর নির্দিষ্ট মামলা নথিভুক্ত হয়। বড়তলা থানার মামলা রুজু হয় ১১৮,১৩৭(২),১৪০/৬৫(২) বিএনএস এবং পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী। অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর থেকে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশ সিট গঠন করে তদন্ত হয় এবং পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করে। শিশুকন্যার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট, এবং ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়।
অন্য খবর দেখুন