কলকাতা: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuva Bharati Vandalism) গত ১৩ ডিসেম্বর ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিনজন। চেয়ার ভেঙে, গোলপোস্ট ছিড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় আমজনতা। ঘটনার পর দু’দফায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভাঙচুরের অভিযোগে। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর (Bidhannagar Police ) দক্ষিণ থানার পুলিশ। আজ বিধান নগর আদালতে পেশ করা হবে তিনজনকে। যুবভারতীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা নয়। একই সঙ্গে শুক্রবার মেসির অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তর (Satadru Dutta) বাড়িতেও হানা দিল পুলিশ।
সল্টলেক যুব ভারতী স্টেডিয়ামে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও তিন। গ্রেফতার করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে লেকটাউন এলাকা থেকে। একজনকে গ্রেফতার করেছে ঘোলা এলাকা থেকে।ভাঙচুরের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ৯ জন। জানা গিয়েছে, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতীর নানা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই তিনজনকে। ধৃতদের নাম রাজু দাস ওরফে গোপাল দাস, সৌম্যদীপ দাস ওরফে পাপ্পু এবং তন্ময় দে ওরফে দুষ্টু।
আরও পড়ুন: একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, বড়দিনেও পড়বে না জাঁকিয়ে শীত
১৩ ডিসেম্বর সল্টলেক যুবভারতী স্টেডিয়ামে আসেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। তাকে দেখতে হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ দর্শক। ভাঙচুরের পাশাপাশি লুঠপাট ও চালানো হয়। বিধাননগর পুলিশের পাশাপাশি যুবভারতীতে তাণ্ডব নিয়ে তদন্ত করছে সিটও। সূত্রের খবর, রণক্ষেত্র হয়ে ওঠা যুবভারতীর একাধিক ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। অন্যদিকে শতদ্রু দত্তের বাড়িতে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। বেশ কিছু নথি এবং অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য নেওয়ার জন্য গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।পাশাপাশি শুক্রবার শতদ্রুর রিষড়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।শতদ্রু তিনতলা বাড়িতে সুইমিং পুল, ফুটবল মাঠ আছে। কিন্তু এদিন একমাত্র পরিচারিকা ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিলেন না।তদন্তকারীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি, বাড়ির ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, গোটা বিষয়টি যে হেতু তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে মেসির অনুষ্ঠানে ‘কালো টাকা’ ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান।যুবভারতীকাণ্ডে পুলিশের পক্ষ থেকে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি প্রায় ১০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ওই বিপুল পরিমাণ কালো টাকার উৎস সন্ধানে নামতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে শতদ্রুর কোনও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়নি এখনও পর্যন্ত।







