ওয়েব ডেস্ক: টোল প্লাজায় গাড়িতে ফাস্ট্যাগ (Fastag Toll Plazas) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ বোম্বে হাইকোর্টে (Bombay High Court)। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সব গাড়িতেই ফাস্ট্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তা না থাকলে সেই গাড়ির উপর দ্বিগুণ টোল ফি করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল বোম্বে হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন অর্জুন খানাপুরে। সেই মামলা খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, টোল প্লাজাগুলিতে ফাস্ট্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। মনে করা হচ্ছি টোল প্লাজায় যানজট কমবে এবং জ্বালানি খরচ ও দূষণ কমবে।
বোম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অলোক আরাধে এবং বিচারপতি ভারতী ডাংরের একটি বেঞ্চ FASTag ছাড়া যানবাহনের জন্য দ্বিগুণ টোল ফি আদায়ের নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। যেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। রায় প্রধান বিচারপতি অলক আরাধে ও বিচারপতি ভারতী ডাঙ্গরের। বর্তমানে এমন কোন লোক পাওয়া মুশকিল, বিশেষত মুম্বই এবং পুনেতে, যিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। যিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তিনি কিভাবে রিচার্জ করতে হয়, সেটাও জানেন। ফাস্ট্যাগ ব্যবহারের প্রক্রিয়া সহজ হলেও সব নাগরিক টেকস্যাভি নাও হতে পারেন। তাহলেও ফাস্ট্যাগ অফলাইনেও ব্যবহার করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে এমন একটি সরকারি নীতির ক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে নারাজ। অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: উত্তরাধিকার নিয়ে বড় ঘোষণা মাদ্রাজ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে টোল ফি দেওয়ার ব্যবস্থা ফাস্ট্যাগের মাধ্যমে হয়ে থাকে। গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে ইলেকট্রনিক একটি ট্যাগ লাগানো থাকে। যার সঙ্গে গাড়ি মালিকের সেভিংস একাউন্টের যোগ থাকে। ফলে নগদ লেনদেন ছাড়াই এমন ট্যাগ লাগানো গাড়ি টোল প্লাজা দিয়ে সহজে যাতায়াত করতে পারে।অশিক্ষিত মানুষ এবং যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তারা এমন পদ্ধতির ফলে সমস্যায় পড়বেন বলে মামলাকারীর অভিযোগ।তবে, বেঞ্চ এই যুক্তিগুলি খারিজ করে দিয়ে জোর দিয়ে বলেছে যে FASTag সিস্টেমটি ২০১৪ সালে চালু হয়েছিল এবং বছরের পর বছর ধরে ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছিল। আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে এর লক্ষ্য ছিল দক্ষ, নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করা, টোল প্লাজায় যানজট কমানো এবং জ্বালানি খরচ এবং দূষণ কমানো।
অন্য খবর দেখুন