তমলুক, সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়: স্কুলের সামনে বিপজ্জনক বাড়ি (Dangerous house) , খসে পড়ছে পাথরের চাঁই। যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
দ্রুত প্রশাসন ব্যবস্থা নিক,অনুরোধ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার (Head Mistress)। আইনি জটিলতা থাকার কারণে ভাঙা যাচ্ছে না বাড়ি দাবি, পুরসভার চেয়ারম্যানের (Municipality chairman) ।
পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলার সদর শহর তমলুক (Tamluk)। এই শহরেই অতি পরিচিত নামী স্কুল গুলির মধ্যে অন্যতম হল রাজকুমারী শান্তনাময়ী হাই স্কুল (Rajkumari Shantanamayee High School)
।
আরও পড়ুন: রেড রোড থেকে বিজেপির সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেওয়ার বার্তা অভিষেকের
তমলুক শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাদামতলা এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলে প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রীসংখ্যা প্রায় ২০০০ জন। কয়েক মাস আগে কলকাতায় বহুতল ভেঙে পড়ায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল।
সেই থেকেও শিক্ষা নেয়নি তমলুক শহরের প্রশাসন!! তমলুক শহরে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজের পাশেই রয়েছে রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী গার্লস হাই স্কুল, সেই স্কুলে ঢোকার মুখেই দাঁড়িয়ে রয়েছে আস্ত ভাঙ্গা একটি বাড়ি। খসে খসে পড়ছে পড়ছে পাথরের চাঁই।
বহুবার পরিবারের সদস্যের গায়ে পড়েছে এই খসে পড়া পাথরের অংশ। তাম্রলিপ্ত পুরসভা থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর পরিদর্শন করে গেলেও পরিবারের অন্য এক সদস্য মামলা করে রাখার ফলে বাড়িটি কেউই ভাঙতে পারছে না।
কিন্তু যে কোন মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। প্রাণহানির সম্ভাবনাও থেকে যায় কারণ দ্বিতলে পরিবারের সদস্যরা থাকেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। শুধুমাত্র স্কুলের ছাত্রী নয় তমলুক শহরে ঢোকার মুখে মূল প্রবেশদ্বার।
প্রত্যেকদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত করে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে। বাড়ির সদস্যদের নিয়ে প্রশাসন যদি অতি দ্রুত বাড়ি ভাঙার চেষ্টা না করে তাহলে যে কোনদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তমলুক শহরের মধ্যে।
রাজকুমারী সান্তনাময়ী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা আদক বলেন, স্কুলে ঢোকার মুখে এই বিপজ্জনক বাড়িতে ভাঙার জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান ও থানায় জানিয়েছিলাম।
সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তিনি অনুরোধ করেন প্রশাসন যাতে এই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। না হলে আগামীদিনে যে কোন সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটবে তখন আমরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারব না।
যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ওই বাড়িটি আমরা বিপদজনক বাড়ি বলে পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যানার দিয়েছিলাম। বাড়িটি আইনি জটিলতা থাকার কারণে এখনও পর্যন্ত ভাঙা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব যাতে বাড়িটি দ্রুত ভাঙার ব্যবস্থা করা যায়।
সব কিছু জটিলতা কাটিয়ে এই বাড়িটি ভেঙে ফেলে কবে বিপদ মুক্ত করা হবে সেই দিকে তাকিয়ে তমলুক শহরবাসী।
দেখুন অন্য খবর-