কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) তিনদিনের বঙ্গ সফরেও রাজ্য বিজেপির (BJP) নতুন–পুরোনো দ্বন্দ্ব নতুন করে সামনে এল। সোমবার রাতে কলকাতায় (Kolkata) পা রাখার পর সল্টলেকের (Saltlake) বিজেপি পার্টি অফিসে একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক করলেও, কোর কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার কোর কমিটি ও রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকেও তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
শুধু দিলীপ ঘোষ নন, শাহর সফরে দলের বহু পুরনো নেতাকেও বৈঠক থেকে দূরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণাও হয়নি। ফলে কার্যত বর্তমান ক্ষমতাসীন শিবিরের কয়েকজন নেতাই শাহর সফরজুড়ে তাঁকে ঘিরে থাকছেন। দলের আদি নেতা ও বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ যাতে সরাসরি শাহর কাছে না পৌঁছয়, সে কারণেই বৈঠকে ‘বাছাই’ নেতৃত্ব রাখা হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৭.২ ডিগ্রি কমল কলকাতার তাপমাত্রা, জেলায় জেলায় হাড়কাঁপানো শীত
সোমবার রাতে শাহ রাজ্য বিজেপির সংগঠনের হাল নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ বুথে কমিটি হয়নি। জেলা স্তরে নতুন-পুরোনো দ্বন্দ্ব ও গোষ্ঠীকোন্দল সংগঠনকে দুর্বল করছে-এ কথাও উঠে আসে বৈঠকে। তা সত্ত্বেও বুথস্তরে জনসংযোগ জোরদার করে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার বার্তা দেন শাহ।
केन्द्रीय गृह एवं सहकारिता मंत्री श्री @AmitShah जी तीन दिवसीय पश्चिम बंगाल प्रवास के लिए कोलकाता पहुँचे, जहाँ हवाई अड्डे पर @BJP4Bengal के वरिष्ठ नेताओं, कार्यकर्ताओं ने उनका भव्य स्वागत किया। कार्यकर्ताओं का यह उत्साह बता रहा है कि पश्चिम बंगाल में ‘परिवर्तन’ निश्चित है। pic.twitter.com/g4enaRo4KO
— Office of Amit Shah (@AmitShahOffice) December 29, 2025
মতুয়া ভোট, এসআইআর ও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রচারে অনুপ্রবেশ, ধর্মীয় রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প, কৃষি, সড়ক পরিবহন ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের মতো উন্নয়নমূলক ইস্যু তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ বলে জানা গিয়েছে। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শাহ লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।”
অন্যদিকে, শাহর সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ভোট এলেই বিজেপি ‘ডেলি-প্যাসেঞ্জারি’ করে, কিন্তু বাংলার মানুষ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করে। সব মিলিয়ে, ভোটের আগে শাহর সফরেও বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিভাজনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।






