Friday, November 7, 2025
HomeScrollSIR-এর কারণে বৃদ্ধাশ্রমে ফিরবে সন্তানরা, অপেক্ষায় আবাসিকরা!
SIR

SIR-এর কারণে বৃদ্ধাশ্রমে ফিরবে সন্তানরা, অপেক্ষায় আবাসিকরা!

প্রয়োজনে হয়তো আবারও সন্তানেরা ফিরবে বাবা-মায়ের কাছে!

ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে চালু হয়েছে এসআইআর (SIR) কর্মসূচি। নাগরিকত্ব বা ভোটার তালিকায় (Voter List) নিজের নাম টিকিয়ে রাখতে দরকার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবার নাম। সেই প্রয়োজনে হয়তো আবারও সন্তানেরা ফিরবে বাবা-মায়ের কাছে।সন্তানকে একবারের জন্য দেখতে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে বৃদ্ধাশ্রমের (old age home) আবাসিকরা।

একটা সময় ছিল যখন পরিবারের স্তম্ভ ছিলেন তাঁরা—সেই বাবা, সেই মা। এক সময় যাঁদের হাত ধরে চলতে শেখা, খেতে শেখা, জীবনের ভালো-মন্দ বোঝা—আজ সেই মানুষগুলোই পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে ঠাঁই পেয়েছেন রানাঘাটের পূর্বনগরের বৃদ্ধাশ্রমে (old age home)।

রাজ্যজুড়ে এখন চলছে এসআইআর (SIR)-এর আবহ। তবে তার প্রভাব পড়েনি এই বৃদ্ধাশ্রমের চার দেওয়ালের মধ্যে। এখানে সময় থমকে গেছে—কেউ চার বছর, কেউ তিন, কেউ আবার পাঁচ বছর ধরে পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি।ছেলে, বৌমা, নাতি-নাতনিরা যেন এক অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছে।আজ এই বৃদ্ধ পিতা-মাতার জীবনের সবকিছুই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বৃদ্ধাশ্রমের এক কোণের ছোট্ট ঘরে।

আরও খবর : প্রাথমিকে ব্যাপক বদলির নির্দেশ, নেপথ্যে কী কারণ? জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর

জানলার ধারে বসে দিন কাটে অতীতের স্মৃতিতে—সেই সন্তান যখন ছোট ছিল, তখন তার ছোট্ট হাত ধরে হাঁটা শেখানো, খাওয়ানো, ভালো-মন্দ বোঝানো—সবই এখন কেবল স্মৃতির খাতায়। মাঝে মাঝে চেষ্টা করেও সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয় না। ফোন করলেও ছেলেরা ফোন কেটে দেয়।কিন্তু এখন রাজ্যে চালু হয়েছে এসআইআর (SIR) কর্মসূচি। নাগরিকত্ব বা ভোটার তালিকায় নিজের নাম টিকিয়ে রাখতে দরকার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় বাবার নাম। সেই প্রয়োজনে হয়তো আবারও সন্তানেরা ফিরবে বাবা-মায়ের কাছে। হয়তো বহু বছর পর একবারের জন্য হলেও চোখের সামনে দেখা দেবে সেই ছেলের মুখ—এই আশাতেই বুক বাঁধেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা।

তবে এখানকার প্রবীণদের মনে SIR-এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি। এই আশ্রম যেন সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন এক জগৎ—যেখানে আবেগ, একাকীত্ব, স্মৃতি আর অপেক্ষা একাকার হয়ে আছে। অনেকেই মনে করছেন, হয়তো প্রয়োজনে সন্তান ফিরে আসবে, আবার প্রয়োজন ফুরোলে তারা ফিরে যাবে সেই পুরনো নিঃসঙ্গ ঘরে। তবু, একবারের জন্যও সন্তানের মুখ দেখা—এই আশাতেই দিন গুনছেন তাঁরা।বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের দিকে তাকালে অনায়াসেই মনে পড়ে যায় নচিকেতার সেই হৃদয়স্পর্শী গান—‘বৃদ্ধাশ্রম’।

দেখুন অন্য খবর :

Read More

Latest News