ওয়েব ডেস্ক: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাস (Hamas) ইজরায়েলে (Israel) অতর্কিতে হামলা চালায়। পণ বন্দিকরে ২৫০ জনকে। তাতে ১২০০ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই গাজায় (Gaza) নির্বিচারে হামলা করতে থাকে ইজরায়েল। যা এখনও চলছে। এবার ত্রাণ কেন্দ্রেও (Aid Centre) হামলা চালাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার। দক্ষিণ গাজায় নতুন করে ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হল ২৬ জনের। আহত ১১৫। সোমবার সকালে আমেরিকার একটি ত্রাণ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্যালেস্তিনীয়দের অনেকে। সেখানে ইজরায়েলের সেনা নির্বিচারে গুলি করে। উল্লেখ্য, গত ২৭ মে পর্যন্ত গাজায় ইজরায়েলের হানায় প্রায় ৫৬ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্তাইন এই ঘটনার নিন্দা করেছে। তারা জানিয়েছে, রাফায় ক্ষুধার্ত মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে। তারা এই ঘটনায় আমেরিকার ত্রাণ কেন্দ্রগুলিকে মৃত্যু ফাঁদ বলে উল্লেখ করেছে। আন্তর্জাতিক মহল ও আরবের কাছে এই প্রেক্ষিতে গাজায় হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে। গাজায় বিপন্ন মানুষের জন্য আমেরিকা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন তৈরি করেছে। তার সামনে সাহায্যের জন্য হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয় এদিন জড়ো হন। সেখানেই হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, আহতদের জন্য সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল পাকিস্তান? মেনে নিলেন সেনাপ্রধান!
গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্য়ে যুদ্ধ বিরতির জন্য মধ্যস্থতা করে আমেরিকা। শর্ত সহ বিভিন্ন কারণে তা এখনও পর্যন্ত বিশ বাঁও জলে। গাজায় গুলির সামনে অসহনীয় শৈশব কাটাতে হচ্ছে খুদেদের। সম্প্রতি ১১ বছরের ইয়াকিন হামাদের মৃত্যু হয়। যে সারা বিশ্বের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় গাজায় অসহায় শিশুদের কথা তুলে ধরত।
দেখুন অন্য খবর: