Tuesday, October 7, 2025
spot_img
HomeScrollএকা হাতে লক্ষ্মীপুজোর দায়িত্ব সামলান দেবলীনা
Lakshmi Puja Devlina Kumar

একা হাতে লক্ষ্মীপুজোর দায়িত্ব সামলান দেবলীনা

পরম যত্নে পুজোর আয়োজন করলেন দেবলীনা

  1. কলকাতা: আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো (Lakshmi Puja 2025)। ঘরে ঘরে চলছে মা লক্ষ্মীর আরাধনা। লক্ষ্মীপুজো মানেই দেবলীনা কুমারের (Lakshmi Puja Devlina Kumar) ব্যস্ততা দ্বিগুণ। একদিকে মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতবউ, অন্যদিকে দেবাশীষ কুমারের একমাত্র সন্তান দেবলীনা। বাপেরবাড়ি, শ্বশুরবাড়ি দু’দিকের পুজোর থাকতে হয় অভিনেত্রীকে। সমস্ত দায়িত্ব থাকে দেবলীনার উপর। তবে কোনও দিকেই খামতি রাখেন না অভিনেত্রী। পরম যত্নে পুজোর আয়োজন করলেন দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar)।

উত্তম কুমারের পরিবারের কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর ইতিহাস কম-বেশি সকলেরই জানা। এই পরিবারের ছেলে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে লক্ষ্মী পুজোয় বসেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। আর প্রতি বছরের মতো এই বছরও দেবলীনা একই সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি ও তাঁর নাচের স্কুলের লক্ষ্মীপুজোর দায়িত্ব পালন করলেন। রবিবার থেকেই পুজোর তোড়জোড় তিনি শুরু করে দিয়েছিলেন। বিগত ১৫ বছর ধরে দেবলীনা তাঁর নাচের স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করছেন। নিজে গিয়ে ঠাকুর নিয়ে আসেন। নাড়ু বানানো, পায়েস তৈরি করা কিংবা মা লক্ষ্মীর সাজ, সবটাই অভিনেত্রী নিজের হাতে করে থাকেন।
উত্তম কুমারের পরিবারের লক্ষ্মীপুজোতেও জাঁক জমকের কমতি নেই। প্রতিবারই খুব বড় করে হয় এই পুজো।

আরও পড়ুন: বাড়ির লক্ষ্মী পুজোয় নিজে হাতে ভোগ রাঁধেন অভিনেত্রী চৈতি

ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে মহানায়কের স্ত্রী গৌরীর আদলে আজও মা লক্ষ্মী পূজিতা হন। রীতি মেনে এখনও উপোস করে পুজোয় বসেন মহানায়কের নাতি গৌরব। পুজোর আয়োজনে থাকেন বউমা দেবলীনা কুমার। এবারও লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়নায় শ্বশুরবাড়ির মা লক্ষ্মীকে সাজালেন অভিনেত্রী।ঐতিহ্য মেনেই আজও পুজোর দিন ভোরে গঙ্গায় ডুব দিয়ে ঘট ভরে আনা হয়। উত্তমকুমারের আমল থেকে একটা বড় রুপোর ঘট বসানো হয় প্রতিমার সামনে।

এ বাড়িতে পুজোর ভোগ তৈরির অধিকার শুধুমাত্র দীক্ষিত পরিবারের মেয়ে বা পুত্রবধূদেরই। ভোগে থাকে পোলাও, লুচি, ছোলার ডাল, পাঁচরকম ভাজা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পায়েস। সেই সময় ভিয়েন বসিয়ে পান্তুয়া, গজা তৈরি হত বাড়িতেই। বালতি করে পান্তুয়া বিতরণ করা হত প্রতিবেশিদের বাড়িতে। সেই নিয়ম আজও চলে চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারে। মা লক্ষ্মীর কাছে চাওয়া বিশেষ মানত পূরণ হওয়ায় কাঙালি ভোজন করাতেন মহানায়ক। উত্তমকুমার, গৌরীদেবী নিজের হাতে পরিবেশন করতেন। আজও অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন গৌরব-দেবলীনা-সহ বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম।

অন্য খবর দেখুন 

YouTube player
Read More

Latest News