কলকাতা: বিষাক্ত স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টা পর নিষিদ্ধ সংস্থার সমস্ত পণ্য সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যভবন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছেছে নির্দেশিকা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখনও আশঙ্কাজনক আরও চার প্রসূতি। স্বাস্থ্য ভবনের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছেন।
নির্দিষ্ট একটি সংস্থার ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ আগেই দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। তার পরেও কেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Medinipur Medical College) প্রসূতিদের সেই সংস্থার স্যালাইন দেওয়া হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার খোঁজ খবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যায় স্বাস্থ্য দফতর গঠিত ১৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। পাঁচ প্রসূতিকে ওই সংস্থার স্যালাইনই দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে তারা। অভিযোগ উঠেছে এসএসকেএম, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, এনআরএস মেডিক্যাল, বাঁকুড়া, রায়গঞ্জ-সহ একাধিক জেলা হাসপাতালে এদিনও ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন বা কোনও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের ১০টি পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সমস্ত পণ্য হাসপাতালে কোথাও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে প্যারাসিটামল ও শিশুদের শরীরে সোডিয়াম – পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে ব্যবহৃত তরলের নতুন করে বরাত দিতে বলা হয়েছে। আর এর পর থেকেই হাসপাতালে যেখানে যত স্যালাইনের বোতল রয়েছে তা সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে অফিস টাইমে মেট্রো পরিষেবা, যাত্রীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
উল্লেখ্য যে, বুধবার রাতে সিজারের মাধ্যমে পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার পর শুক্রবার ভোরে প্রাণ হারান মামণি রুইদাস নামে এক প্রসূতি। চারজন প্রসূতি এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, স্যালাইন দেওয়ার পরেই অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন (Nabanna)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন
