কলকাতা: ঘটনার দিন ট্যাংরার (Tangra Case) দে বাড়িতে ঠিক রী কী ঘটে ছিল তাঁর বিবরণ দিল দে পরিবারের ছেলে প্রতীপ দে। বৃহস্পতিবার শিশু সুরক্ষা কমিশনের (West Bengal Commission for Protection of Child Rights) ২ প্রতিনিধি NRS হাস্পাতাল এ প্রণয় এর নাবালক পুত্র এর সঙ্গে দেখা করতে যায়। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময় ঘটনার দিনের বিবরণ দিতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দেন নাবালক। জানাল ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়ের খাওয়ার পরও কিছু হয়নি তার। এদিকে শিশু সুরক্ষা কমিশন চাইছে হোমে না পাঠিয়ে নাবালককে কোনও আত্মীয়র কাছে রাখতে। তা নিয়ে এখনও জারি টানাপোড়েন।
নাবালক জানিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে আভাস পেয়েছিল যে বাবা-কাকার ব্যবসা খারাপ চলছে। সবাই মিলে আলোচনা করত। মা ওকে ব্যবসার অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছিল। ঘটনার দু’দিন আগেই এই সংক্রান্ত আলোচনা করছিল তাঁর বাবা প্রসূন ও কাকা প্রণয়। বাবা বলেছিল, “এবার পাওনাদাররা বাড়িতে হানা দেবে। মৃত্যু ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে সকলে মিলে যে এমন পরিকল্পনা করেছে তা নাবালক জানত না।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির ৩২ নেতার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করল কেন্দ্র
বাবা-কাকা পরিকল্পনামাফিক পরিবারের সকলেই ওষুধ মেশানো পায়েস খায়। বিষ মেশানো পায়েশ খাওয়ার পরও তার কিছু হয়নি। নিয়মিত শরীর চর্চা ও জিম করায় ওই পায়েস খেয়ে কিছুই হয়নি ওই নাবালকের। মৃত্যু না হওয়ার কাকা বালিশ চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। যোগা করায় বেশ কিছুক্ষণ শ্বাস আটকে রাখে। মরে যাওয়ার ভান করেছিল বলে জানিয়েছে নাবালক। পরে উঠে মা কাকিমা, বোনকে মৃত অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যায়। বাবা কাকা ছাদে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। নাবালক বলে, বড়রা তাঁকে কিছু সরাসরি কিছু জানায়নি। জানতে পারলে হয়তো সেও উপার্জনের কোনও রাস্তা দেখাতে পারত।
অন্য খবর দেখুন
