নয়াদিল্লি: দীর্ঘ রোগভোগের পর বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি (BNP) চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার (Khaleda Jiya) প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা দেন মোদি।
২০১৫ সালে ঢাকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রয়াণে আমি অত্যন্ত শোকাহত। তাঁর পরিবার, শুভানুধ্যায়ী এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।” পাশাপাশি তিনি প্রার্থনা করেন, “এই অপূরণীয় ক্ষতি সামলানোর শক্তি ঈশ্বর যেন তাঁর পরিবারকে দেন।”
আরও পড়ুন: শেষ নিঃশ্বাস ঢাকার হাসপাতালে, প্রয়াত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া
Deeply saddened to learn about the passing away of former Prime Minister and BNP Chairperson Begum Khaleda Zia in Dhaka.
Our sincerest condolences to her family and all the people of Bangladesh. May the Almighty grant her family the fortitude to bear this tragic loss.
As the… pic.twitter.com/BLg6K52vak
— Narendra Modi (@narendramodi) December 30, 2025
খালেদার রাজনৈতিক ভূমিকার কথাও স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, “বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশের উন্নয়নে খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক গঠনে তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয়।” সেই সঙ্গে তিনি আশাবাদী কণ্ঠে যোগ করেন, “খালেদার ঐতিহ্য ও দৃষ্টিভঙ্গিতেই আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাক ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক।”
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। চলতি মাসের শুরুতেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মোদি এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তাও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই লড়াই থামল মঙ্গলবার সকালে।
বিশ্লেষকদের মতে, খালেদা জিয়ার প্রয়াণ শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতেই নয়, উপমহাদেশের কূটনৈতিক পরিসরেও তাৎপর্যপূর্ণ। অতীতের টানাপোড়েন সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির তরফে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত মিলছিল। সেই প্রেক্ষিতেই মোদির এই শোকবার্তা বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খালেদার স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের বার্তাই দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।






