নয়াদিল্লি: ফের পিছিয়ে গেল গোধরা মামলার (Godhra case) শুনানি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি (13 February) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পরবর্তী শুনানির (Hearing) দিন ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী (Justice JK Maheshwari) এবং বিচারপতি অরবিন্দ কুমারের (Justice Arvind Kumar) একটি বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে পরবর্তী শুনানির তারিখে এই বিষয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, গুজরাট সরকার আরও কয়েকজন অভিযুক্তের দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি করবে আদালত।
গুজরাট হাইকোর্টের (Gujrat High Court) অক্টোবরের ২০১৭’ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আপিল দায়ের করা হয়েছে। যা বেশ কয়েকটি দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করেছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনানি ছিল, একজন আসামির পক্ষে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী জানান, কোনও প্রমাণ রেকর্ডে রাখা হয়নি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তিতে বহিষ্কৃত আইএএস পূজা খেড়কর, এখনই গ্রেফতার নয়
বিচারপতি মহেশ্বরী জানান, আমরা আগেই স্পষ্ট করেছি, বিষয়টি শুনব। আমরা আর মামলা স্থগিত করব না। অন্তত পাঁচবার এই মামলার শুনানি স্থগিত হয়েছে। গত একবছর ধরে আমি এই মামলা স্থগিত করে আসছি।
আইনজীবী আদালতকে বলেছেন যে, কয়েকজন আসামি সাজা মাফের আবেদন করেছেন যা মুলতুবি রয়েছে। বিষয়টি স্থগিত করতে অস্বীকার করে বেঞ্চ বলেছে, “আমাদের প্রধান বিচারপতির কার্যালয় থেকে নির্দেশনা আছে যে ফৌজদারি আপিল এবং মাফের মামলাগুলি একসঙ্গে শুনানির প্রয়োজন নেই।”
প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে দোষীদের একজনের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আবেদনে জানিয়েছেন, গুজরাটের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবনে পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলটি প্রথমে শুনতে হবে।
আইনজীবী হেগড়ে জানান, কেটে গেছে বাইশ বছর। আমার মক্কেলদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। এই বেঞ্চকে প্রথমে দোষ নিশ্চিত করতে হবে। একবার এটি নিশ্চিত হয়ে গেলে, সাজা দেওয়ার অংশটি আসে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা যখন যাব, তখন এটি সময়সাপেক্ষ্য ব্যাপার। এটি তিনজন বিচারপতির বেঞ্চে পাঠালে তার একটি প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।
দোষীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা সময় চাওয়ার পর আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়। এর আগে শীর্ষ আদালতে শুনানির সময়, রাষ্ট্রের আইনজীবী বলেছিলেন যে ১১ আসামিকে বিচারে আদালত মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে এবং অন্য ২০ জনকে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী জানিয়েছেন, হাইকোর্ট এই মামলায় ৩১ জনকেদোষী সাব্যস্ত করেছে এবং ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের গোধরায় সাবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরায় আগুন লাগে এবং জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫৯ জনের। ওই ঘটনার পরেই গুজরাট জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল।
দেখুন অন্য খবর-