মেদিনীপুর: সোমবার সাত সকালে রাজ্যের চার জেলায় হানা দেয় ইডির একাধিক আধিকারিকরা (Enforcement Directorate)। বালি পাচার (Sand Smuggling) মামলায় একযোগে ২২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তল্লাশি চালানো হয় মেদিনীপুর (Midnapore) শহরের কাছেই আবাস সংলগ্ন যমুনাবালী এলাকায় বালি ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার সৌরভ কুমার রায়ের বাড়িতেও। এবার ওই বালি ব্যবসায়ীকে নিয়েই উঠে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
সূত্রের খবর, মেদিনীপুরের (Midnapore) বাড়িতে অভিযান চললেও সৌরভের বালি খাদান থেকে ব্যবসা সবটাই ঝাড়গ্রাম থেকে চলত। ঝাড়গ্রামে (Jhargram) তার একাধিক খাদান রয়েছে। ঝাড়গ্রামের লালগড়ে রয়েছে তার সুবিশাল বাংলো ও অফিস। বড় ঠিকাদার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও, গত দু-তিন বছর ধরে বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরই সৌরভের চমকপ্রদ উত্থান হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আটকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতার টাকা, অভিযোগ সমবায় ব্যাঙ্কের দিকে
ওয়াকিবহাল মহলের অভিযোগ, জাল সিও ব্যবহার করে বালি পাচারের কারণেই এই ব্যবসায় সৌরভের চমকপ্রদ উত্থান। ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন বালি খাদান থেকে অবৈধভাবে ওভারলোডিং ট্রাক যাওয়ার ফলে রাস্তার বেহাল দশার দাবি তুলে গত দু’তিন সপ্তাহ আগেই ঝাড়গ্রামের সিজুয়াতে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন ওই এলাকায় বালি ব্যবসা বন্ধ রাখেন সৌরভ।
মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইতের দাবি, ‘বালি পাচার, কয়লা পাচার, গরু পাচার ছাড়া এই সরকারের আমলে আর আছেটা কি? সৌরভ রায় একজন বালি মাফিয়া হিসেবে পরিচিত। জাল সিও (ক্যারিং অর্ডার) ব্যবহার করে বালি পাচার করেন। আর সেই অবৈধ টাকার ভাগ কলকাতা অবধি পৌঁছে যায়।’
যদিও শাসকদলের বিরুদ্ধে আঙ্গুল ওঠায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান দীনেন রায়। তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি পশ্চিম মেদিনীপুরে নয়, ওঁর বালি খাদান বা ব্যবসা সবটাই ঝাড়গ্রামে। আর এই বিষয়ের সঙ্গে আমাদের দল কোনোভাবেই যুক্ত নয়।”
দেখুন অন্য খবর